CAA Apply Online – নাগরিকত্ব পেতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কতজন আবেদন করলো CAA পোর্টাল এ? কি জানালো কেন্দ্র?

CAA লাগু নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা চলছে বহুদিন ধরে। অনেক রাজ্য অবশ্য এর বিরোধিতাও করেছে বহুবার (CAA Apply Online). কিন্তু সেই সব উত্তেজনা কাটিয়ে এবার অবশেষে লাগু হতে চলেছে এই আইন, এমনটাই সংবাদ মিলল কেন্দ্রীয় সরকার (Government Of India) সূত্রে। গত জানুয়ারি মাসেই CAA নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বলা হয়, আবেদন পোর্টাল তৈরি হয়েছে, খুব শীঘ্রই এটি চালু করা হবে।

CAA Apply Online In West Bengal.

আর তারপর থেকেই উদ্বাস্তুরা আবেদন করতে পারবেন নাগরিকত্ব (CAA Apply Online) লাভের জন্য। সেই অনুযায়ী মার্চ মাসেই আবেদনের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন রাজ্য থেকে হাজার হাজার রিফিউজি আবেদন জানিয়েছেন এই পোর্টালে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে কতজন আবেদন করেছেন? সেই বিষয়েও বার্তা দিয়েছেন তারা। দেখে নেব।

What Is CAA Act?

২০১৯ সালে ভারতীয় সংসদ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস (CAA Apply Online) করেছিল। এই বিলের প্রধান লক্ষ্য ছিল পড়শী দেশ গুলি থেকে আসা উপযুক্ত ব্যক্তিদের ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান করা। একই সঙ্গে সেই সকল মানুষদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা যারা অবৈধভাবে এখানে এসে রয়েছেন। এই বিলের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের জন্য।

ভারতে আসা রিফিউজিদের নাগরিকত্ব (CAA Apply Online) দেওয়া হওয়ার কথা ছিল। যাই হোক, ২০১৯ এ লোকসভায় প্রথম এই বিল পূর্ণ সমর্থন পেয়ে পাশ করেছিল। যদিও রাজ্যসভার কিছু সদস্য তার বিরোধিতা করে। কিন্তু তা সত্বেও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অনুমতি লাভ করে এই বিল পাস হয় এবং আইনে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাকে।

CAA Apply Online Before Lok Sabha Election 2024

সি এ এ (CAA Apply Online) সম্পর্কে শুরু থেকেই কেন্দ্রের বিরোধিতা করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও কয়েকটি রাজ্য। এই কারণে পর্যন্ত মোট ৭ বার এক্সটেনশন জারি করা হয় এই বিলের মেয়াদে। শেষ সময় বাড়ানো হয়েছিল এই বছর জানুয়ারি মাসে। এদিকে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন হাজার হাজার পরিযায়ী। যতদিন না আইন লাগু করা হয়, ততদিন দেশের নাগরিক হিসেবে কোনো সুবিধা পাবেন না তারা।

তাই সব ঝামেলা উপেক্ষা করেই গত ১১ মার্চ সিএএ নিয়ে জারি হয় কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি। আর তার পরদিন থেকেই নির্দিষ্ট পোর্টাল (CAA Apply Online Portal) খুলে দেওয়া হয় আবেদনের জন্য। এরপর সকলের মনে জল্পনা ঘুরতে থাকে যে কেন্দ্র অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গেই সিএএ চালু করবে। যদিও এরকম কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা এখনো করা হয়নি। তবে অনেকের আন্দাজ, ভোটের আগেই সেই কাজ সম্পন্ন হতে পারে।

Donation (পশ্চিমবঙ্গে ডোনেশন)

How Many CAA Apply Online From West Bengal?

সিএএ এর পুরো আবেদন প্রক্রিয়াটি করা হয় অনলাইনে। আবেদনকারীরা কোন সালে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, কি কারণে এসেছিলেন, সেইসব তথ্য পোর্টালে দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়। জানা যাচ্ছে, বাংলা থেকেও নাকি অনেকে রেজিস্ট্রেশন করেছেন নাগরিকত্ব লাভের জন্য। কিন্তু মোট সংখ্যা কত তা জানার জন্য মহম্মদ সাহিন নামে এক ব্যক্তি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আরটিআই (RTI) করে প্রশ্ন করেছিলেন।

2016 সালের আগে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের নথি যাচাইয়ের নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট। চাকরি নিয়ে টানাটানি শুরু!

তার উত্তরে কেন্দ্র জানায়, সেই হিসাব তারা রাখেন না। কারণ এরকম কোনো তথ্য জমা রাখার ব্যবস্থাই তাদের দপ্তরের নেই। CAA Apply Online কিভাবে করতে হবে সেই সম্পর্কে এখন কোন স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়নি সরকারের তরফে। এই ঘোষণার ফলে অনেকের খুবই সুবিধা হতে চলেছে এবং ভবিষ্যতেও হতে চলেছে। এই সম্পর্কে আপনাদের কোন মতামত থাকলে নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
Written by Nabadip Saha.

12600 টাকা ঢুকবে সরকারি কর্মীদের একাউন্টে। DA বৃদ্ধির পর নতুন সুখবর।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment