Gratuity Calculation – এইবার বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা ও পেতে চলেছেন সরকারি এই সুবিধা। জেনে নিন এই সুবিধা পেতে গেলে কি করতে হবে।
সরকারি ক্ষেত্রে যারা চাকরি করেন, তারা সমস্ত রকম (Gratuity Calculation) সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। মাসের শেষে বেতন, তার সঙ্গে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ভাতা পেয়ে থাকেন। তারা ডিএ, গ্র্যাচুইটি, পিএফ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে নির্ধারিত ছুটিও পান। কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনো সুযোগ সুবিধা অধিকাংশ সংস্থাই দেয় না।
বর্তমানে দেশ জুড়ে বেসরকারি ক্ষেত্রে যে অধিকাংশ মানুষ কর্মরত রয়েছেন, তারা এক কথায় বলতে গেলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা (Gratuity Calculation) থেকেই বঞ্চিত। একেই মাসের শেষে ন্যূনতম বেতন দেওয়া হয়,তাও আবার অনেক সময় বহু সংস্থাই সঠিক সময়ে বেতন দেয় না। তার উপরে প্রয়োজন অনুযায়ী ছুটি পান না। আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধার কথা তো ছেড়েই দেওয়া যাক।
এই সমস্যার মধ্যে যদি কোনো কর্মী কাজ করতে না পারেন, সংস্থা তাকে বাদ দিয়ে দেয়। কিন্তু দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মীদের (Gratuity Calculation) জন্য কোনো নির্ধারিত বেতনক্রম কোনো সরকার ধার্য করে দিতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ট্রেড ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে আন্দোলন করা হয়ে থাকে।
কিন্তু তারপরেও বেসরকারি ক্ষেত্রে অধিকাংশ কর্মী বঞ্চিত থাকেন। তবে এরকম একটা সময়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ এর ফলে বেসরকারি স্কুলে কর্মরত শিক্ষকেরা (Gratuity Calculation) উপকৃত হতে চলেছেন। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা গ্র্যাচুইটি পাবেন। পেমেন্টস অফ গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট অনুসারে যে সমস্ত কর্মরতরা 5 বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন, তারা অবসর, ইস্তফা, মৃত্যু কিংবা কোনো দুর্ঘটনায় অক্ষম হলে গ্র্যাচুইটির টাকা পাবেন।
পুজোর আগেই West Bengal এর 3 লাখ কর্মীদের বেতন ভাতা ঘোষণা, মোট বরাদ্দ কত, কত টাকা বাড়লো?
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, 6 মাসের মধ্যে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের এই টাকা দিতে হবে। এই সময়সীমার মধ্যে তারা যদি Gratuity-র টাকা না পান, তাহলে নির্দিষ্ট ফোরামে গিয়ে আবেদন জানাতে পারবেন।
বেসরকারি স্কুলগুলির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, শিক্ষকদের Gratuity দেওয়ার জন্য আর্থিক সংস্থান নেই। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে (Gratuity Calculation), Gratuity কোনো বিশেষ ধরনের বেশি পাওনা নয়। এটি একেবারেই ন্যূনতম পাওনা। বেসরকারি স্কুলগুলির আর্থিক অক্ষমতার বিষয়টিকে মানতে চাননি বিচারপতিরা।
বেসরকারি স্কুলগুলি একাধিক আদালতে হেরে যাওয়ার পরে 2009 সালে একটি সংশোধনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Gratuity Calculation) আবেদন করেছিল। সেখানে বেসরকারি স্কুলগুলির (Private School) দাবি ছিল,PAG অনুসারে যারা পড়ুয়াদের শিক্ষাদান করছেন তারা Employee নন। তারা দক্ষতা, অর্ধ দক্ষতা, Technical, Administration, Clerical কোনো ক্ষেত্রে কর্মরত নন।
তবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বেলা এম ত্রিবেদী জানিয়েছেন, আইনের ওই সংশোধন শিক্ষকদের বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিয়েছে।
স্বাস্থ্যসাথীকে টেক্কা দিতে, এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প, পশ্চিমবঙ্গে আসছে তো??
Statue-র কারণে শিক্ষকদের বকেয়া টাকা কখনো আটকে রাখা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে বেসরকারি স্কুলের কর্মরত (Gratuity Calculation) শিক্ষকরা উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দেশজুড়ে শুধুমাত্র বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরাই নন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কর্মরতরা ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা পান না। দেশের সরকারকেও এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ করতে দেখা যায় না। ফলে তারা বঞ্চিতই থেকে যান।
Written By Rajib Ghosh.