খুব প্রয়োজন না পড়লে রাজ্যে আর হবে না নতুন নিয়োগ বা Govt Job Recruitment. শুধু তাই নয়, যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যেও অনেককে কাটছাঁট করতে পারে সরকার। নির্দেশিকা জারি করে অবগত করেছে নবান্ন। যার কারণে চাকরি (Employment) নিয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখা দিয়েছে রাজ্যে। কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত? চাকরিপ্রার্থী এবং কর্মরতদের কতটা ক্ষতি হতে চলেছে এর ফলে? জানুন বিস্তারিত আজকের খবরে।
Recruitment and Job Activity in West Bengal
রাজ্য সরকারের আর্থিক সংকটের কারণে সরকারী কর্মীদের নিয়োগ নিয়ে চলছে দ্বিধা দ্বন্দ্ব। রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে এবং এটি নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে। মুখ্য সচিবের নির্দেশে নতুন নিয়োগ সীমিত করা হচ্ছে, এবং কর্মীদের সংখ্যা কমানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যা হ্রাস করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং অনেক অফিসের অব্যবহৃত কর্মীদের জন্য নতুন পদক্ষেপের পরিকল্পনা করেছেন।
নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্ত
মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে এক বৈঠকে অভিযোগ করেছেন যে অনেক সরকারি দফতরে কর্মীরা কাজ করেন না। তারা লেট করে অফিসে আসেন, প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়াই সময় কাটান, ফলে প্রচুর অর্থ অপচয় হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার নতুন নির্মাণের প্রস্তাব গ্রহণ করতে নারাজ এবং বর্তমানে কোন নতুন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন, মেধাবী পড়ুয়াদের পড়াশোনার সমস্ত খরচ দেবে শাহরুখ খান। কিভাবে এই স্কলারশিপে আবেদন করবেন?
শূন্যপদ পূরণের জন্য, অর্থ সচিব মনোজ পন্থ নির্দেশ দিয়েছেন যে পুরনো কর্মীদেরই কাজে লাগানো হবে এবং শূন্যপদে নিয়োগ সীমিত করা হবে। নতুন নিয়োগের (Recruitment) ক্ষেত্রে বর্তমানে শূন্যপদের ৫০ শতাংশ পূরণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা অর্থনীতির সংকটের কারণে নেয়া হয়েছে।
বর্তমানে কোথায় শূন্যপদ রয়েছে?
নিয়োগের ক্ষেত্রে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরে ২৮ জন নিরাপত্তা রক্ষী এবং ১৪২ জন উদ্যান পালন প্রযুক্তি সহায়কের নিয়োগ পরিকল্পনা (Job Vacancy) ছিল, যা ৫.৭৪ কোটি টাকা খরচে সম্পন্ন হত। স্কুল শিক্ষা দফতরে ১৯০ শূন্যপদ পূরণের জন্য ১১.৬০ কোটি টাকা খরচ হতো। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের আটটি থানায় এবং ট্রাফিক গার্ডে ৪৩৬ জনের নিয়োগ প্রয়োজন ছিল, যা ৫.০২ কোটি টাকায় সম্পন্ন হত।
আরও পড়ুন, পূর্ব রেলওয়েতে ১৫০০০ লোকো পাইলট নিয়োগ হচ্ছে। ভারতীয় রেলে স্থায়ী চাকরিতে আবেদন করুন
পূর্ত, শ্রম, স্বাস্থ্য, কৃষি দফতরেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ ছিল, তবে রাজ্য সরকারের বর্তমান নীতির কারণে এসব নিয়োগের পরিকল্পনা স্থগিত বা সীমিত করা হতে পারে। এখন রাজ্য সরকার শূন্যপদের ৫০ শতাংশ নিয়োগের অনুমোদন দিলেও, ভবিষ্যতে অন্যান্য পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে এই নিয়মে পরিবর্তন আসতে পারে।
Written by Nabadip Saha.