অতিমারী আবহে সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) জন্য বেশকিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে। তবে এবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কারণে সেই সকল সুবিধা আর প্রদান করা হবে না। আগামীকাল অর্থাত্ ৮ নভেম্বর থেকে এই সকল সুবিধা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
অতিমারী পরবর্তী সময়ে সরকারি কর্মচারীদের অফিসে উপস্থিতি সম্পর্কিত একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। সরকারের প্রকাশিত সেই গাইডলাইন অনুযায়ী এখন থেকে সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) নির্দিষ্ট কাজের সময় অনুযায়ী অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে। এই উপস্থিতি নথিভূক্ত করার জন্য আগামীকাল অর্থাত্ সোমবার থেকে পুনরায় চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক সিস্টেম (Biometric Attendance)।
সরকারের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স দেওয়ার বিষয়ে ইতিমধ্যেই সরকারি অফিসগুলিতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। ডেপুটি সেক্রেটারির কথা অনুযায়ী, করোনাকালের কথা মাথায় রেখে কম সংখ্যক কর্মীদের (Government Employees) অফিসে ডাকা এবং কাজের সময় কম করার মত যে ছাড় দেওয়া হয়েছিল তা আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর ৮ নভেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক সিস্টেমে অ্যাটেনডেন্স দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের তরফ থেকে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। সেই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, বায়োমেট্রিক সিস্টেমের সামনে স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক। যখন সরকারি কর্মীরা (Government Employees) এসে বায়োমেট্রিক সিস্টেমে নিজেদের উপস্থিতি নথিভূক্ত করবেন সেই সময় তাদের প্রথমে তাদের হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। উপস্থিতি নথিভূক্ত করার সময় নিজেদের মধ্যে ছয় ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং প্রত্যেকের মাস্ক পরে আসাটা বাধ্যতামূলক।
এর পাশাপাশি এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে বায়োমেট্রিকের টাচপ্যাড পরিষ্কার রাখার জন্য সবসময় একজন কর্মীকে রাখা হবে। যে কর্মী ওই বায়োমেট্রিকের টাচপ্যাড বারবার পরিষ্কার করে দেবেন। পাশাপাশি এই বায়োমেট্রিক সিস্টেম রাখতে হবে খোলা পরিবেশে, বদ্ধ জায়গায় রাখা চলবে না। (Government Employees)
আরও পড়ুন, কেন্দ্র সরকারী কর্মীদের মতো সমস্ত রাজ্য সরকারী কর্মীরাও পাবেন এই সুবিধা