ভারত কৃষি প্রধান দেশ। দরিদ্র চাষীরা রোদে পুড়ে জলে ভিজে মাঠে সোনার ফসল ফলান। এই জন্য সরকার Agriculture Subsidy বা কৃষিকাজ করার জন্য কৃষকবন্ধুদের ভর্তুকি প্রদান করে থাকে। কৃষকদের (Indian Farmers) ফলানো ফসল একদিকে যেমন আমাদের দেশের মানুষের জীবন ধারণের প্রধান উৎস তেমনি অন্যদিকে এই ফসল আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ভিত তৈরি করার ক্ষেত্রেও প্রধান ভূমিকা পালন করে।
Government Provide Agriculture Subsidy For Farmers.
তাই আমাদের দেশ এবং রাজ্য সরকার উভয়েই দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তোলার উদ্দেশ্যে একাধিক কর্মসূচি (Agriculture Subsidy) গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (WB CM Mamata Banerjee) উদ্যোগে রাজ্যের কৃষক বা আমাদের সকলের অন্নদাতাদের উদ্দেশ্যে এমনই আরেক প্রকল্পের (Govt Scheme) ঘোষণা জারি করা হয়েছে যা সকল চাষীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলবে। রাজ্য সরকারের (Government Of West Bengal) তরফে বলা হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় যে সমস্ত চাষী নিজেদের নাম নথিভুক্ত করবেন তাদেরকে কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেবে সরকার। যার উপর থাকবে 16 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকির (Agriculture Subsidy) সুবিধা। কৃষি ক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণ একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া। ট্রাক্টর, হারভেস্টার পাওয়ার টিলার, বীজ বপন যন্ত্র ইত্যাদি কৃষিকাজকে (Farming) আরো সুবিধা জনক করে তোলে চাষীদের জন্য।
আর তাই রাজ্যের কৃষকদের সস্তায় সেই সুবিধা প্রদান করতে এই বিশেষ উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। যে কোন দরিদ্র চাষী হোক কিংবা ভাগ চাষী সকলেই এই Agriculture Subsidy মাধ্যমে সুবিধা লাভ করতে পারবেন। কৃষি ক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণের সুবিধা এখন নয়, গত ২০১৪ সাল থেকেই রাজ্যে সরকার শুরু করেছে। এই জন্য বেশ কিছু কাস্টম হায়ারিং সেন্টার এবং ফার্ম মেশিনারি হাব তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।
যার মধ্যে ২২৮ টি কাস্টমার হায়ারিং সেন্টার গঠন করা হয় তখন। নতুন সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক ছড়ানো থেকে শুরু করে মেশিন দিয়ে চারা রোপন করা, ধান বা গম ঝাড়ানো ইত্যাদির কাজে সাহায্য করে এই গুলি। কৃষকরা সহজেই এই সমস্ত সেন্টার গুলি থেকে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, সোলার পাম্প, মিনি ডাল মিল, তেল মিল, বীজ ড্রিল, থ্রেশার, স্প্রেয়ার, কম্বাইন হারভেস্টর, রোটাভেটর ইত্যাদি ন্যায্য মূল্যে ভাড়া নিতে পারতেন।
কিন্তু এর পেছনে একটি সমস্যা ছিল। এই সমস্ত সেন্টার গুলি তৈরিতে আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা খরচা হয়ে যেত রাজ্যের। তাই এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিয়ম করেছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নয় বরং কোন কৃষক বা কৃষকদের সংগঠন গুলি এই সেন্টার তৈরি করবে নিজেরা। সরকার এই জন্য অবশ্যই তাদের ঋণ দেবে এবং সেই ঋণ (Agriculture Subsidy Loan) সময় মত শোধ করে দিলে ১৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকিও দেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কৃষক বন্ধুদের একাউন্টে টাকা দিচ্ছে মমতা। এই ফর্ম জমা করলেই টাকা পাবেন।
আগামী ১ এপ্রিল ২০২৪ থেকে নতুন Agriculture Subsidy উদ্যোগ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার এই রাজ্যের কৃষকদের জন্য। এখন দেখা যাক কতটা লাভ হয় এতে কৃষকদের (Indian Farmers). আর ধীরে ধীরে সকল কৃষকদের (Krishak Bandhu) এই Agriculture Subsidy দেওয়ার ফলে সকল ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে বলে মনে করছেন অনেকে। ভোটের আগে এই ঘোষণায় খুশি হয়েছেন অনেক কৃষকরা।
Written by Nabadip Saha.
প্রত্যেক পরিবারকে 15 লাখ টাকা দেবে কেন্দ্র সরকার। আধার কার্ড থাকলে এইভাবে আবেদন করুন।