Ration Card – রেশনে মিলবে এই নতুন সুবিধা, উপকৃত হবেন দেশবাসী।
দেশবাসীকে রেশনের (Ration Card) মাধ্যমে খাদ্যশস্য সরবরাহ করে থাকে কেন্দ্র এবং রাজ্য, উভয় সরকারই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যেমন জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন (NFSA) অনুযায়ী রেশন কার্ডধারীদের বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে খাদ্যশস্য দেওয়া হয়। ঠিক তেমনি রাজ্য সরকারও বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিজে থেকেই রাজ্যবাসীকে সেই সুবিধা দিয়ে থাকে।
রেশন কার্ড (Ration Card) হোল্ডাররা তাদের কার্ড অনুযায়ী বিভিন্নভাবে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার সুবিধাভোগীরা প্রতিটি রেশন কার্ডে ২১ কেজি চাল এবং ১৪ কেজি গম পেয়ে থাকেন। এই রেশন কার্ডধারীরা গম ছাড়াও সমপরিমাণের উন্নত মানের চাল নিতে পারবেন। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সুরক্ষা ক্যাম্পেইন শুরু করা হয়েছে। যেখানে সরকার দেশের মহিলা ও শিশুদের পুষ্টির দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে চাইছে।
অপুষ্টি রোধের উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার রেশন কার্ড (Ration Card) হোল্ডারদের বিনামূল্যে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এবার সেই ক্ষেত্রে আরো উন্নত মানের চাল দেওয়া হবে। এই উন্নত মানের চালে বিশেষ গুণাবলী রয়েছে। যাতে দেশের মহিলা ও শিশুদের মধ্যে যে সাম্প্রতিক সময়ে অপুষ্টি দেখা যাচ্ছে, তা রোধ করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যেই কেন্দ্র এই ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।
সপ্তাহের এই 3 দিন নখ, চুল এবং দাড়ি কাটলে জীবনে পদে পদে তৈরি হবে সমস্যা, কিভাবে মুক্তি পাবেন?
সরকারের তরফে এই উন্নতমানের বিশেষ চালে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি টুয়েলভ থাকবে। তবে তার জন্য চালের স্বাদ অন্য ধরনের হবে না। যেভাবে ভাত রান্না করা হয়, সেভাবেই এই চালও রান্না করা যাবে। সুতরাং রান্নার পদ্ধতিও কোনো পরিবর্তন হবে না। আবার এই চাল থেকে অনেক বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে। নতুন এই পরিকল্পনা অনুযায়ী রেশন কার্ড হোল্ডাররা (Ration Card) প্রতিমাসে বিনামূল্যে এই খাদ্যশস্য পাবেন।
সেক্ষেত্রে যোগ্য পরিবাররা প্রতি ইউনিটে ৩ কেজি চাল এবং ২ কেজি গম বিনামূল্যে পাবেন। ইতিমধ্যেই বহু রেশন দোকানে নতুন উন্নত মানের চাল পৌঁছতে শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণ চালের চেয়ে এই নতুন চালের পুষ্টিগুণ অনেকটাই বেশি। মহিলা ও শিশুদের মধ্যে এই চাল গ্রহণ করার ফলে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে। দেশজুড়ে অপুষ্টি একটা গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। মহিলা এবং শিশুদের মধ্যে দেশের একটা নির্দিষ্ট অংশের মধ্যে এই অপুষ্টি দেখা যায়। ফলে সেই অপুষ্টি রোধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩ সালের খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের অধীনেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
Written by Rajib Ghosh.