কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য Dearness Allowance নিয়ে আবারও সুখবর। এবার তাঁরা পেতে পারেন ১৮ মাসের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) ও ডিয়ারনেস রিলিফ (DR)। কোভিড মহামারীর সময় বন্ধ ছিল এই দুই ভাতা। সম্প্রতি, এই বকেয়া টাকা কর্মীদের (Employee Benefits) হাতে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সরকারের কাছে। আসন্ন বাজেটে এ নিয়ে বড় ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Dearness Allowance for Government Employees
গত কয়েক মাস ধরেই বকেয়া ডিএ ও ডিআর মেটানোর জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে একাধিক কর্মী সংগঠন। এর মধ্যে অন্যতম হল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মজদুর সংঘ। গত মাসে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিয়েছিলেন এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুকেশ সিং।
আরও পড়ুন, চাকরিজীবীদের কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার কি হয়? নমিনি কিভাবে টাকা তুলবেন?
তিনি তার চিঠিতে লিখেছিলেন, “কোভিড মহামারীর সময় যে ভয়ঙ্কর আর্থিক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছিল, সেটা আমরা সকলেই বুঝতে পেরেছি। তবে সেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। অর্থনীতি আবারও ফিরেছে পুরনো ট্র্যাকে। তাই এবার বকেয়া ডিএ ও ডিআর অবিলম্বে কর্মচারীদের মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
কেন্দ্র সরকারের পদক্ষেপ
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মোট ১৮ মাস মহার্ঘ ভাতা ও ডিয়ারনেস রিলিফ বন্ধ রেখেছিল কেন্দ্র। ওই সময় এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে অর্থ মন্ত্রক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে সেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন, পোস্ট অফিসের গ্রাহকদের প্রতি মাসে ২০০০০ টাকা রিটার্ন দিচ্ছে। এই স্কীমে কিভাবে আবেদন করবেন?
কত টাকা পাবেন কর্মীরা
কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বছরে দু’বার, অর্থাৎ জানুয়ারি ও মার্চে পর্যালোচনা করে সরকার। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে তাঁদের DA বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ শতাংশ। ফলে ৫০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। গত মার্চে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ডিএ ও ডিআরের অতিরিক্ত কিস্তির টাকা বিলির অনুমোদন দিয়েছিল।
ফলে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ৪ শতাংশ। যা বেসিক বেতন (Basic Salary) বা পেনশনের (Pension) ৪৬ শতাংশ। প্রায় ১ কোটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এই বকেয়া ডিএ ও ডিআর পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ৪৯.১৮ লাখ কর্মচারী এবং ৬৭.৯৫ লাখ পেনশনভোগী।
Written by Nabadip Saha.