পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের কড়া অর্ডার। শুক্রবার অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক। অফিসে না এলে কড়া শাস্তি

আর জি কর কান্ডে বন্‌ধ ডেকেছে একাধিক সংগঠন। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের “‘বন্‌ধ-সংস্কৃতির’ বিপক্ষে থেকে সকলকে আজ শুক্রবার বাধ্যতামূলকভাবে অফিসে আসতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এই নির্দেশ অমান্য করলে কড়া শাস্তি ও শোকজ করা হবে। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। নোটিশে কি বলা হয়েছে, কারা ছাড় পাবেন, জেনে নিন।

শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের ডাক। সমর্থন একাধিক সংগঠনের

সরকারি কর্মীদের ছুটি অনুমোদন নয়

আর সারা রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট বিফল করার উদ্দেশ্যে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারীর কাজে যোগদান বাধ্যতামূলক করল নবান্ন। শুধু সরকারি কর্মীরাই নন এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি, মিউনিসিপ্যাল, সিটি কর্পারেশন, পঞ্চায়েত প্রভৃতি সংস্থার কর্মীদের ক্ষেত্রেও। যারা আগে থেকে ছুটিতে রয়েছেন, তাদের মধ্যে বিশেষ কারণ ব্যাতীত অনেকেরই কাজে যোগদান করতে বলা হয়েছে। এবার জেনে নিন কাদের ক্ষেত্রে এই অর্ডার প্রযোজ্য ও কারা ছাড় পাবেন?

কারা ছুটি নিতে পারবেন না?

শুক্র বার রাজ্য সরকারের কোনও সরকারি কর্মচারী পূর্ণদিবস বা অর্ধদিবস কোনও রকম CL বা ক্যাজুয়াল লিভ নিতে পারবেন না। যারা আগে থেকে CL নিয়েছেন, তাদের ও কাজে যোগ দিতে হবে। গতকাল রাজ্য সরকার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এবং কারা ছুটি পেতে পারেন, জেনে নিন।

কারা ছুটি পেতে পারেন?

আগে থেকে যারা CL নিয়েছেন, তাদের ও অফিসে আসতে হবে। তবে তবে যাঁরা ১৪ তারিখের আগে থেকে যারা আপদকালীন বা অসুস্থতা অথবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, বা অপারেশনের কারনে ছুটিতে রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এই অর্ডার প্রযোজ্য নয়। অন্যদিকে যাদের বাড়িতে শোক রয়েছে, অর্থাৎ প্রিয়জনের প্রয়াণের কারনে ছুটিতে রয়েছেন তারা এই অর্ডার থেকে বাইরে থাকবেন।

এছাড়া যাঁরা বুধবারের আগে থেকে ML বা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন, বা CCL বা সন্তান প্রতিপালনের ছুটিতে রয়েছেন, এবং ML বা মেডিকেল ও EL বা আর্ন লিভে রয়েছেন তাদের জন্য এই অর্ডার প্রযোজ্য নয়। মোটকথা ছুটি নিয়ে বা অফিসে না এসে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার কোনও উপায় থাকবে না।

কি শাস্তি হবে?

বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলা হয়েছে, যারা সরকারি নির্দেশ অমান্য করে অফিসে আসবেন না, তাদের অফিশিয়ালি শোকজ বা জবাবদিহি করা হবে। যারা উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারবেন না, বা শোকজের উত্তর দেবেন না, তাদের বিরুদ্ধে শ়ৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আইনি বা বিভাগীয় শাস্তির জন্য পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন, রাজ্যজুড়ে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের ঘাটতি। রান্নার গ্যাস বুকিং করলেও গ্যাস পাবেন না?

রাজ্য সরকারি কর্মীদের মতামত

ধর্মঘট ডাকা হলে এর আগেও এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। তাই এই অর্ডার রাজ্য সরকারি কর্মীদের কাছে নতুন নয়। আর ডাইস-নন এর বিপক্ষে কর্মীদের একাংশের মত, পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের সার্ভিস রুল অনুযায়ী কর্মীদের ধর্মঘটের অধিকার রয়েছে, এরপরও রাজ্যসরকার অনৈতিক ভাবে এই ধরনের অর্ডার ধমঘট হলেই প্রকাশ করে, যেটি কাম্য নয়।

আরও পড়ুন, স্বাধীনতা দিবসে প্রবীণ নাগরিকদের সুখবর। পকেটে ঢুকবে মোটা টাকা।

রাজ্য সরকারের অবস্থান

রাজ্য সরকার বরাবরই ধর্মঘটের বিপক্ষে। আর যে কারনে এই ধর্মঘট, প্রথম দিন থেকেই রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার নিন্দা ও দোষীদের ফাঁসি চেয়েছেন। তাই এরপরও ধর্মঘট কাম্য নয়।
এদিকে আন্দোলনকারীদের মতে প্রকৃত সত্য সামনে না এলে ভবিষ্যতে আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment