কোভিডে সুস্থ হওয়ার পর কোভ্যাকসিনের একটি ডোজেই শরীরে তৈরি হচ্ছে ইমিউনিটি। ফল দিচ্ছে দুই ডোজের সমান। আইসিএমআরের গবেষণায় উঠে এল এমনই অভিনব তথ্য। যদিও তার মানে এই নয় যে, কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিকে আর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে না। সম্পূর্ণ করতে হবে দুই ডোজই। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজটি কাজ করবে বুস্টার অর্থাৎ বাড়তি সুরক্ষা হিসেবে। একইভাবে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর কোভিড আক্রান্ত হলেও ভয়ের কিছু নেই। ভ্যাকসিন কাজ করছে না ভেবে আত্মবিশ্বাস হারানোও অমূলক। বরং ফল ভালো। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের পর দ্বিতীয় ডোজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়াবে। রুখে দেবে ডেল্টা প্লাসের মতো কোভিড ভাইরাসের মারাত্মক ভ্যারিয়েন্টের আক্রমণও। ১১৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রত্যক্ষ কোভিড যোদ্ধার রক্তের সিরাম পরীক্ষায় উঠে এল অভিনব তথ্য। আইসিএমআরের গবেষণায় আগেই দেখা গিয়েছে, একবার কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর কোনও ব্যক্তি যদি লাগামছাড়া হয়ে যান, তাহলে ১০২ দিন পর ফের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই কোভিড কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার তিন মাস পর ভ্যাকসিন নেওয়ার দাওয়াই দিয়েছে আইসিএমআর। যা মেনে নিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আর এই ব্যক্তিদের নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই উঠে এসেছে নতুন তথ্য। আইসিএমআরের মহামারীবিদ্যা বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ডাঃ সমীরণ পাণ্ডা জানান, কোভ্যকসিন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, কোভিড হয়ে যাওয়ার পর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিলেই দুটি ডোজের সমান ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে। যদিও এরপরেও ভ্যাকসিন বিধি মেনে নির্দিষ্ট সময়ের অন্তরে দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ করতেই হবে। ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজটি বুস্টার হিসেবে কাজ করবে।