Social Media: ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট খোলা যাবে না। বন্ধ হবে প্রচুর একাউন্ট

বর্তমানে স্মার্ট ফোন আর তাতে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি Social Media Platforms ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজলে খুবই কম পাওয়া যাবে। এমনকি এই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি মানুষের আসক্তি এতটাই বেড়েছে যে মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে লোকজনের সঙ্গে দুটো কথা বলতেও ভুলে গেছে। তবে এই সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। জার জেরে এবার স্যোশাল মিডিয়া একাউন্ট খোলার নুন্যতম বয়স বেধে দেওয়ার চিন্তাভাবনা সুরু হয়েছে।

Effect of Social Media

বেশিরভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে আকৃষ্ট হবার ফলে কমবয়সী বাচ্চাদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে, এমনকি বাড়ি থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে ভুলে গেছে তারা। বাড়িতে মোবাইল বা ট্যাবলেটের সঙ্গে ব্যস্ত থাকা, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি নির্ভরশীলতা—এই চিত্র এখন প্রায় সর্বত্র। তাই দেশের সন্তানদের স্বার্থে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ওপর রাশ টানতে এবার বিভিন্ন সরকার নতুন আইন আনতে যাচ্ছে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশের জন্য একটি ন্যূনতম বয়স বেঁধে দেবে।

কোন দেশে এই আইন চালু হচ্ছে?

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ় জানান, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় লগ ইন করার জন্য বয়সের সীমা নির্ধারণের পরিকল্পনা করছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো বয়স নির্ধারণ করা হয়নি, তবে এটি ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ় ব্যক্তিগতভাবে চান যে, ১৬ বছরের কম বয়সী কোনো শিশু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার না করুক। তার মতে, সোশ্যাল মিডিয়া শিশুর মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, এবং তাই শিশুদের মাঠে খেলা, সুইমিং পুলে যাওয়া, টেনিস কোর্টে সময় কাটানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

বর্তমান সময়ে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশের জন্য কোনো বয়সের বিধিনিষেধ নেই, ফলে শিশুরা খুব সহজেই এসব প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হচ্ছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদি সোশ্যাল সাইটে প্রবেশের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা না থাকায়, অনেক কম বয়স থেকেই শিশুরা এদের ব্যবহার শুরু করছে। এই পরিস্থিতি তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

Social media age restrictions

অস্ট্রেলিয়া সরকারের নতুন আইনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশুদের প্রবেশের জন্য নুন্যতম বয়সসীমা ১৪ থেকে ১৬ বছর নির্ধারণ করবে, তবে এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন। প্রযুক্তির বর্তমান উন্নতির কারণে, বয়স যাচাইয়ের প্রক্রিয়া কার্যকরীভাবে প্রয়োগ করা কঠিন হতে পারে। অধিকন্তু, সোশ্যাল মিডিয়া এখন যুব সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তাই নিষেধাজ্ঞার চেয়ে প্ল্যাটফর্মগুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন, আধার কার্ড নিয়ে 2 দিনের সময় বেঁধে দিলো UIDAI. অবহেলা করলেই পস্তাবেন

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা চান শিশুদের প্রকৃত অভিজ্ঞতা লাভ হোক, সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে মুক্তি পেয়ে তারা শারীরিক ও সামাজিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করুক। সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ করতে নতুন আইন কার্যকর হলে, শিশুরা তাদের শারীরিক ও সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Written by Nabadip Saha.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!