Free Laptop Yojana – ছাত্র ছাত্রীদের বিনামূল্যে ল্যাপটপ দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। কারা পাবেন? কিভাবে আবেদন করবেন?

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উৎসাহ যোগাতে বিভিন্ন রকম স্কলারশিপ ও প্রকল্প চালু হয়েছে। আর তার নবতম সংযোজন Free Laptop Yojana (फ्री लैपटॉप योजना) বা বিনামূল্যে ল্যাপটপ প্রকল্প। যে প্রকল্পের মাধ্যমে পড়ুয়ারা বিনামূল্যে ল্যাপটপ কেনার টাকা পেতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেমন ট্যাব কেনার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের টাকা দিয়ে থাকে, ঠিক সেইরকমই একটা প্রকল্প চালু হলো।

Free Laptop Yojana 2024 Online Registration

আজকাল বেশিরভাগ জিনিসই অনলাইনে হয়। পড়াশোনাও চালু হয়ে গিয়েছে এখন অনলাইনে (Online Education). বিশেষ করে অতিমারীর সময় অনলাইনে ক্লাস, অনলাইন পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে এই রেওয়াজ বেড়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় ছাত্র ছাত্রীদের কাছে একটি স্মার্ট ফোন অথবা ল্যাপটপ না থাকলে তারা পড়াশোনা করবে কি করে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের স্মার্টফোন দেওয়ার প্রকল্প আগেই চালু করেছিলেন।

এবার শিক্ষার্থীদের আরো সাহায্যের জন্য পশ্চিমবঙ্গের অনুকরণে বিনামূল্যে ল্যাপটপ প্রদান করা শুরু করল একাধিক রাজ্য সরকার। যেখানে Free Laptop Yojana প্রকল্পের মাধ্যমে ল্যাপটপ কেনার জন্য নগদ টাকা দেওয়া হবে, ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক একাউন্টে। কারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন? আবেদন পদ্ধতি কি আছে? সব জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।

Free Laptop Yojana 2024

দুস্থ মেধাবী পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার সাহায্যের জন্য সরকারের তরফ থেকে নানা ধরনের স্কলারশিপ আগেই চালু করা হয়েছে। এগুলির মাধ্যমে প্রতিবছর সুবিধা পান কোটি কোটি শিক্ষার্থী। সম্প্রতি ফ্রি ল্যাপটপ যোজনার মাধ্যমে সেই সমস্ত অভাবী পড়ুয়াদের পাশে আরো একবার দাঁড়াল সরকার।

ফ্রি ল্যাপটপ যোজনার সুবিধা

সাধারণত এদেশে একটি সাধারণ মানের ল্যাপটপের দাম কমপক্ষে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। কিন্তু যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ে তাদের পক্ষে এই টাকাটি জোগাড় করা সম্ভব হয় না। সেই কারণেই সরকার এবার ল্যাপটপ কেনার টাকা দিচ্ছে তাদের। মোট ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীকে এ বছর সাহায্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা?

১. আবেদনকারী কে অবশ্যই রাজ্যের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২. যেকোনো সরকার স্বীকৃত স্কুলে অধ্যায়নরত কেবল অষ্টম, নবম এবং দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ পড়ুয়ারাই ফ্রি ল্যাপটপ লাভ করবেন।
৩. আগের ক্লাসের পরীক্ষায় ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
৪. শিক্ষার্থীর অভিভাবককে সরকারি চাকুরিজীবী হওয়া চলবে না।
৫. আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার বেশি হওয়া চলবে না।

কিভাবে আবেদন করবেন?

১. ফ্রি ল্যাপটপ পাওয়ার জন্য আবেদন জানানো যাচ্ছে স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি মারফত।
২. এজন্য ছাত্রছাত্রীদের নিজের নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এই যোজনায় আবেদনের কথা জানাতে হবে।
৩. কর্তৃপক্ষ তখন একটি আবেদন পত্র দেবে, যেটিকে সঠিকভাবে ফিলাপ করে নিতে হবে।
৪. আবেদনপত্রের সঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসও সংযুক্ত করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের।

৫. এরপর নিজেদের অ্যাপ্লিকেশন জমা করে দিলেই আবেদন সম্পন্ন হবে ফ্রি ল্যাপটপ যোজনায়।
৬. পরবর্তীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারফত সেই আবেদন যাচাই করা হবে।
৭. যাদেরকে উপযুক্ত মনে হবে তাদের নামই মেধা তালিকা মারফত সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
৮. এরপর খুব শীঘ্রই ব্যাংক একাউন্টে ল্যাপটপ কেনার টাকা ঢুকিয়ে দেবে সরকার।

প্রয়োজনীয় নথিপত্র

  • আধার কার্ড।
  • পাসপোর্ট ছবি।
  • পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র।
  • আগের ক্লাসের পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কশিট।
  • স্থায়ী বাসস্থানের প্রমাণ।
  • মোবাইল নম্বর যেটিতে আধার লিঙ্ক আছে।
  • ব্যাংকের পাস বই।

ল্যাপটপের টাকা ঢুকেছে নাকি জানবেন কি করে?

১. ফ্রি ল্যাপটপ যোজনার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে গিয়ে নিজেদের স্ট্যাটাস চেক করতে হবে আবেদনকারীদের।
২. এজন্য প্রথমে হোমপেজে Check Beneficiary Status লিংকে ক্লিক করুন।
৩. নতুন পেজ খুলবে যেখানে উচ্চ মাধ্যমিকের রোল নম্বর এবং পাশের বছর বসাতে হবে।
৪. এরপর তা সাবমিট করলে তবেই স্ক্রিনে নিজের স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন।

কোন কোন রাজ্যে চালু হয়েছে?

ফ্রি ল্যাপটপ যোজনার মাধ্যমে ল্যাপটপ কেনার টাকা বর্তমানে কেবল উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং বিহার রাজ্যের সরকারই প্রদান করছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এখনো এই যোজনা চালু করেনি। তবে AITCE Free Laptop Yojana এর মাধ্যমে সারা দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠরত পড়ুয়ারা বিনামূল্যে ল্যাপটপ পেতে আবেদন করতে পারবেন।
Written by Nabadip Saha.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment