বর্তমানে ভারতের টেলিকম দুনিয়ার স্পটলাইট থেকে বেশ কিছুটা দূরেই থাকে BSNL. মূলত, Jio AirTel এর দাপট, এবং 4G নেটওয়ার্কের সাপ্লাই দিতে না পারায় নেটনাগরিকরা একপ্রকার ব্যানই করে দিয়েছে বি এস এন এলকে। কিন্তু নতুন করে জনপ্রিয়তা পাবার লক্ষ্যে চলতি বছরের ১৫ আগস্ট 4G লঞ্চ করার কথা ঘোষণা করে বি এস এন এল। পরবর্তীতে সেটা পিছিয়ে করা হয়েছে জানুয়ারি ২০২৩। অফিসিয়ালি জানানো হয়েছে জানুয়ারিতেই প্যান ইন্ডিয়াব্যাপী 4G চালু করতে চলেছে একদা দেশের সর্ববৃহৎ টেলিকম সংস্থাটি।
ঘুরে দাড়াচ্ছে BSNL
কয়েকদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে রেল, যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান যে, ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যেই সারাদেশ জুড়ে বি এস এন এলের 4G নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। সেই সাথে তিনি সংযোজন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ এর আগস্ট মাসের মধ্যেই দেশ জুড়ে 5G নেটওর্য়াকও শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
নেটওয়ার্ক সিস্টেমকে নতুনভাবে সাজাতে বি এস এন এল সাহায্য নিচ্ছে TCS এর। জানানো হয়েছে, রতন টাটার মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি TCS এর সাহায্যেই প্রথমে 4G এবং তারপরে 5G পরিষেবা শুরু করবে তারা। এই মর্মে TCS ভারত সরকারের টেলিকম প্রযুক্তি বিকাশকারী, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ টেলিমেটিক্স (C-DOT) এর সাথে BSNL-এর জন্য কোর 4G প্রযুক্তি এবং রেডিও সরঞ্জাম তৈরি করছে বলেই খবর।
TCS এবং BSNL একত্রে সারাদেশে 4G পরিষেবা প্রদানের জন্য ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই চুক্তি সম্পন্ন হলে আরো জলদি জলদি নেটওয়ার্কের কাজ শেষ করতে পারবেন BSNL. জানা গিয়েছে, $2 বিলিয়ন মূল্যের একটি চুক্তি সম্পাদিত হবার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বি এস এন এল এবং TCS এর মধ্যে।
এই টেকনিক জানলেই অনলাইনে, ঘরে বসেই চাকরির থেকে বেশি আয় করার দারুন সুযোগ
প্রসঙ্গত, বি এস এন এলের তারিফ বেশ কম। তাই 4G এবং 5G নেটওয়ার্ক চালু হলে, সেই প্যাকগুলির দামও হয়ত বাজার চলতি জিও বা এয়ারটেলের প্যাকের দামের চেয়ে বেশ খানিকটা কম হবে। সেক্ষেত্রে আবারও আগের মত গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে যাবার একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে BSNL এর।
Written by Antara Banerjee.