School Education Department West Bengal – বাড়ছে কোভিড, সর্দি জ্বরে আক্রান্ত পড়ুয়ারা, বন্ধ হচ্ছে কি স্কুল?
সিজন চেঞ্জের সময় চলে গেছে, তবুও সর্দি জ্বরে আক্রান্ত বহু পড়ুয়া। প্রতি ক্লাসেরই (School Education Department) কেউ না কেউ আক্রান্ত। সবাই কে বললেও মাস্ক পরছেনা। সামাজিক দুরত্বের কোনও বালাই নেই। এটাই রাজ্যের স্কুলের বাস্তব চিত্র। আর একি ক্লাসে বিভিন্ন পরিবেশের বাচ্চারা থাকে, নিয়ম করে বেধে রাখা কার্যত অসম্ভব।
এই মুহুর্তে আবার কি স্কুল বন্ধ হবে? এই সিদ্ধান্তে রীতিমত দ্বিধাগ্রস্থ রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর (School Education Department)। কারন সবেমাত্র ২ মাসের দীর্ঘ ছুটি কার্যত অপচয় করে স্কুল খুলেছে, এবার যদি আবার স্কুল বন্ধ করা হয় তাহলে পড়াশোনার কি হবে। অন্যদিকে ভ্যাক্সিন হয়নি প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়াদের। এই মুহুর্তে কি হবে?
যদিও গতকাল রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত স্কুল বন্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের (School Education Department)। অতিমারীর সংক্রমনের কারণে দীর্ঘদিন পর স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত গঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ প্রায় 2 বছর সময়কাল ধরে স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের স্কুলে গিয়ে পড়াশোনার কোনো পরিস্থিতি ছিল না। অনলাইনে ক্লাস করছিলেন বহু পড়ুয়াই।
তারপর কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে স্কুল-কলেজগুলি নিয়মিত খুলে দেওয়া হয়। তবে স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হলেও অত্যধিক গরমের কারণে ফের একটা লম্বা সময়ের জন্য ছুটি দিয়ে দিতে হয়। গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষ হয়ে স্কুল খুলতেই দেখা যায় ধীরে ধীরে রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিদিন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন, বদলে গেল আগামী বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের সূচী ও সিলেবাস
যেখানে জুলাই মাসের 5 তারিখে ছিল 1973 জন করোনা আক্রান্ত, 6 জুলাই সেখানে 2352 জন করোনা পজিটিভ, আবার 7 জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 3 হাজার ছুঁই ছুঁই। 18.74 শতাংশ পজিটিভিটি রেট। এরপরেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তাহলে কি ফের রাজ্যের স্কুল কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ (School Education Department) হবার মুখে?
কিন্তু রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের (School Education Department) পক্ষ থেকে যেটুকু জানা গিয়েছে, এক্ষুনি স্কুল কলেজ বন্ধের পক্ষপাতী নয়। সেই জায়গায় পর্যায়ক্রমে স্কুলগুলিতে ক্লাস করানোর ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ক্লাসের সময় কমিয়ে দেওয়া, একদিন অন্তর ক্লাস করা, নির্দিষ্ট সংখ্যক পড়ুয়ার সংখ্যা বেঁধে দেওয়া, এই ধরনের কিছু পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সবটাই করার আগে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করা হতে পারে।
যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে ইতিমধ্যেই সপ্তম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত কয়েকটি ক্লাসের একদিন অন্তর ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করার পদ্ধতি চালু হয়েছে। প্রাথমিকে ক্লাসের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে পর্যায়ক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে নিয়ে আসা হচ্ছে। এই স্কুলের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকরাই জ্বর সর্দি কাশিতে ভুগছেন বলে জানা গিয়েছে। একদিন অন্তর ক্লাস চালু করার ভাবনা-চিন্তা (School Education Department) শুরু হয়েছে।
যোধপুর পার্ক বিদ্যাপীঠ স্কুলেও একই পদ্ধতি চালু করা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। সেক্ষেত্রে সেখানেও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করা হতে পারে। এক্ষুনি স্কুল বন্ধ না করে পর্যায়ক্রমে ক্লাস করানোর পক্ষেই চলতে চাইছেন বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে বেসরকারি স্কুলগুলি এই বিষয়ে পদক্ষেপ শুরু করলেও সরকারি স্কুলগুলিতে এখনো কোনো নির্দেশিকা (School Education Department) আসেনি। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত সরকারি স্কুলগুলিতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে।
যেহেতু প্রায় প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পড়ুয়া শিক্ষক শিক্ষিকারা জ্বর সর্দি কাশিতে ভুগছেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে সেই সমস্ত স্কুলে যাতে পুরোপুরি বন্ধ না করে পঠন-পাঠন চালু রাখা যায়, বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সেই দিকেই নজর রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের।
একদিন অন্তর ক্লাস করানো, নির্দিষ্ট কিছু ক্লাসের সময় কমিয়ে দেওয়া, পর্যায়ক্রমে স্কুল চালু রাখার এই বিষয়টি নিয়েই আপাতত আলোচনার মধ্যে রয়েছে সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের। তবে সরকারি নির্দেশিকা আসার অপেক্ষায় রয়েছে সরকারি স্কুলগুলো। এখনো পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর এক্ষুনি সমস্ত স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতী নয়। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দেশিকা রাজ্যের স্কুলগুলোতে আসেনি।
Written by Rajib Ghosh.
ফের বাড়লো গ্যাসের দাম, গ্যাসের খরচ কমানোর গোপন টেকনিক দেখুন, LPG Gas Saving Ideas.