Bank Privatisation – কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে চরম সমস্যায় দেশবাসী।
কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্ত (Bank Privatisation) নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সোচ্চার। একাধিক শ্রমিক ইউনিয়নগুলো তাদের ক্ষোভ সরকারকে জানিয়েছে। যদিও সরকারের তরফে সেই সমস্ত বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এমনিতেই দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লাগাতার দৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া, পেট্রোপণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের অভাব, সব মিলিয়ে সমস্যাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার উপরে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ব্যাংক বেসরকারিকরণ (Bank Privatisation) এর পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছেন, দুটি সরকারি ব্যাংক এবং একটি বিমা সংস্থাকে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটতে চলেছে সরকার।
ইতিমধ্যেই দুটি ব্যাংকের বেসরকারিকরণ এর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে সংসদের বাদল অধিবেশনে (Parliament Session) Banking Laws Amendment Bill আনা হতে পারে। এই বিল সংসদে পাস হয়ে গেলেই দেশের ব্যাংক বেসরকারিকরণের (Bank Privatisation) পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জোরকদমে সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
কত টাকা ডিএ পেতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারী কর্মীরা, নবান্ন কি হিসেব দিলো
যে দুটি সরকারি ব্যাংকের বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার, সেই দুটি ব্যাংক হল, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Central Bank of India) এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক (Indian Overseas Bank) যদিও ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আবার সরকারের পক্ষ থেকেও কোন মন্তব্য করা হয়নি। তবে বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই বিষয়ে সঙ্কেত দিয়েছিলেন।
ব্যাংক বেসরকারিকরণ (Bank Privatisation) এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমবর্ধমান এনপিএ কমানোর চেষ্টা করছে। ব্যাংকগুলিতে সরকারের ৫১ শতাংশ অংশীদারিত্ব কমিয়ে ২৬ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই অংশটি বিক্রি করে বিনিয়োগের পথে হাঁটছে সরকার।
প্রকাশিত হলো ইন্ডিয়ান ওয়েটলিফটিং ফেডারেশনে বিভিন্ন শূন্যপদে 1 লক্ষ টাকা বেতনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
আগামী অধিবেশনে Banking Laws Amendment Bill পাস করে ব্যাংক বেসরকারীকরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। এই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ শ্রমিক ইউনিয়নগুলি। তবে তাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সরকার। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।
একাধিক ব্যাংকের সংযুক্তিকরণ করা হয়েছে। বড় ব্যাংকগুলোকে মার্জার করা হয়েছে। তবে ব্যাংক বেসরকারিকরণ (Bank Privatisation) করা হলেও ব্যাংকের কর্মীদের এবং গ্রাহকদের ওপরে কোনোরকম প্রভাব পড়বে না বলেই জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাংক বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
Written by Rajib Ghosh.
SBI তে বিভিন্ন পদে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ, জেনে নিন আবেদনের পদ্ধতি