Summer Vacation: জল্পনায় গরমের ছুটি! কী বলছে শিক্ষা দপ্তর?
তীব্র গরমে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি (Summer Vacation) এবার অনেকটাই এগিয়ে আনা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেই ছুটির দিন সংখ্যা বাড়িয়ে 45 দিন করা হয়েছিল। সেই সময় তীব্র গরমের কারণে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা হতে পারে, সেইজন্যই রাজ্য সরকার গ্রীষ্মকালীন ছুটি (Summer Vacation) এগিয়ে এনেছিল।
সরকারের এই ছুটি এগিয়ে আনা এবং ছুটির দিন সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের শিক্ষা মহলে একাধিকবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, শিক্ষাদপ্তর (Education Department) আগে সারাবছরে 87 দিন স্কুলে ছুটি দিত। এখন সেটা 65 দিন হলেও অধিকাংশ সময়ে 87 দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। তবে যদি পরিকল্পনা করে স্কুলের ছুটি (Holiday) দেওয়া যেত, তাহলে এই 65 দিন বা তার কাছাকাছি রাখা যেত। এরকমভাবে লম্বা ছুটি (Summer Vacation) দেওয়ার কোনো দরকার পড়তো না।
চলতি বছরে সারা বছরের মোট ছুটির সংখ্যা 65 সেখানে গরমের ছুটি 11 দিন দেওয়া হয়েছিল। এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সেই ছুটি বাড়িয়ে 45 দিন করা হয়েছে। শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতি ছাড়াও এর আগের বেশ কয়েক বছরেও গরমের ছুটি বাড়ানো হয়েছিল। অত্যধিক গরম এর জন্য 2008 সালেও ছুটি বাড়ানো হয়। আর ২০১১ এর পর একাধিক বার গরমের ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
তাদের কথায়, ছুটির তালিকা তৈরির সময় কম গুরুত্বপূর্ণ দিনকে অন্তর্ভুক্ত করতে গিয়ে অনেক সময় গরমের ছুটিতেও হাত পড়ে যাচ্ছে। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে সারা বছরের ছুটির রোস্টার তৈরি করা হচ্ছে।
এবার যারা মাধ্যমিক পাশ করেছে, তাদের জন্য বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর,
শিক্ষকদের মতে, প্রথমে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি (Summer Vacation) 30 দিন ছিল। তারপরে 24, 18, 13 দিন থেকে কমতে কমতে 11 দিনে এসে ঠেকেছে। যেটা বাস্তবোচিত নয়। তাই স্কুলের বার্ষিক ছুটির দিন 87, 80 থেকে 65 দিন এসে ঠেকলেও গরমের কারণে কোনো বার 87 দিনের বেশি হয়ে যাচ্ছে।
তাদের প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গের মতো গ্রীষ্মপ্রধান রাজ্যে 11 দিন গরমের ছুটি দেওয়ার যুক্তি কি? যেখানে প্রতিবারই গরমের কারণে ছুটির দিন সংখ্যা বাড়াতে হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে এক প্রধান শিক্ষক বলেন, আগের বছরগুলোতে দেখা গিয়েছে পুজোর ছুটি (Puja Vacation) অনেকটাই বেশি। গরমের ছুটি কম। পুজোর ছুটি 26 দিন। 2020 সালে গরমের ছুটি (Summer Vacation) ছিল 13 দিন। পুজোর ছুটি কিছুদিন কমিয়ে গরমের ছুটি বাড়িয়ে 65 দিনের ছুটির ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখার একটা চেষ্টা করা যেতেই পারে।
শিক্ষক মহলের কথায়, পরিকল্পনা করে যদি গরমের ছুটি দেওয়া যায়, তাহলে এইভাবে গরমের ছুটি বাড়াতে হতো না। যখন শিক্ষা দপ্তর গরমের ছুটি (Summer Vacation) দিচ্ছে তার বহু আগেই গরম পড়ে যাচ্ছে। তাই গরমের ছুটি এগিয়ে আনতে হচ্ছে। একদিকে যেমন পরিকল্পনাহীন ভাবে ছুটি দেওয়ার ফলে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী কেউ কোনো পরিকল্পনা করতে পারছেন না।
Written by Rajib Ghosh
চলতি মাস থেকে সেভিংস অ্যাকাউন্টে মিনিমাম ব্যালান্স দ্বিগুন বেড়ে গেল