WB School – স্কুলের মধ্যেই দুই শিক্ষকের মারপিট।
শিক্ষকের ঘুঁসিতে নাক ফাটল আর এক শিক্ষকের। কিছুদিন আগের কৃষ্ণনগর স্কুলের (WB School) ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সাধারণ বাকবিতন্ডা থেকে রক্তারক্তিতে পৌঁছে গেছে ঘটনাটি। যা স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে।
সংবাদ সূত্রের খবর ঐ দুই শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্ক কোনোদিনই ভালো থাকেনি, বাকবিতন্ডা লেগে থাকতো। তবে তারা কোনোদিনই ভাবেনি পরিস্থিতি এই পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন উত্তরপাড়া কেএমকে উচ্চ বিদ্যালয়ে (WB School)। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে অঙ্কের শিক্ষকের মধ্যে ঘটনাটা।
এদিকে অঙ্কের শিক্ষকের দাবি তিনি কিছুদিন ধরেই অসুস্থ তা সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হচ্ছেনা। তাকে স্কুলে (WB School) আসতে হচ্ছে। এদিনও তিনি স্কুলে বসেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় এসে ছুটি চাইতে গিয়েছিলেন। এবং প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে তিনি পয়সাও পান। কিছুদিন ধরেই তিনি সেই পয়সা চাইছেন তার চিকিৎসার জন্য। আর ছুটি এবং পাওয়া পয়সা দাবী করায়, দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়, এবং পরিশেষে মারপিটের রূপ নেয়।
কার্তিক পাল নামের ঐ (WB School) শিক্ষককে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের মারধরের ঘটনায় ছাত্রদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় তারা স্কুল ছেড়ে একে একে বেরোতে থাকলে স্থানীয় বাসিন্দারাও ছুটে আসে। গোটা মেঝেময় রক্তে ভর্তি হয়ে যায়।
প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষের দাবি তার কাছ থেকে ছুটি চাওয়ায় একটু কথাকাটাকাটি হতেই কার্তিক বাবুই তাঁর গায়ে প্রথম হাত তোলেন। প্রধান শিক্ষককে এই ঘটনায় গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
এদিকে স্কুলের মধ্যে দুই শিক্ষকের এই আচরন মোটেও শোভনীয় নয় বলে মনে করছেন শিক্ষকদের একাংশ। তারাই যদি স্কুলে মারপিট করেন, তবে বাচ্চারা কি শিখবে? মন্তব্য নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।