Unique Business Ideas – অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ, আয় করুন প্রতি মাসে লাখ টাকারও বেশি.
অনেকের কাছেই অনেক ধরনের ব্যাবসার পরিকল্পনা (Unique Business Ideas) থাকে, তবে পুজি বা ভালোমতো জায়গা না থাকায় ব্যাসাটা দাড় করানো হয়ে ওঠে না। আর আপনি যদি অল্প পূঁজিতে একটি ব্যবসার শুরুর কথা ভেবে থাকেন, তবে এই ব্যাবসাটা আপনার কাছে ইউনিক মনে হতে পারে।
আর আপনি এই ব্যবসাটি ১০০০০-১৫০০০ টাকায় শুরু করতে পারেন এবং আপনি সহজেই মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে ব্যাবসাটি পুরোপুরি বুঝতে পুরো আর্টিকেলটি পড়বেন। সাধারন এই ব্যাবসাটিকে একটু অন্য ভাবে শুরু করলে একদম ইউনিক (Unique Business Ideas) হয়ে যাবে।
ব্যাবসার নামঃ
আমরা যে ব্যাবসার কথা বলবো এটাকে রিসাইকেল বিজনেস (recycling business) বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থ ব্যবসায়িক কাজে লাগানোর সম্পর্কে বলা হচ্ছে। গ্রাম বাংলায় এটিকে ভাঙরি বিজনেস ও বলে থাকে। তবে এই বিজনেসের ডিজিটাল সংস্করণের আইডিয়া (Unique Business Ideas) আপনাকে অবাক করতে পারে। তাই পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থের ব্যবসা শুনে কেউ প্রতিবেদনটি স্কিপ করবেন না আপনাদের জানিয়ে রাখা ভালো যে এই ব্যবসার বর্তমানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অনেকেই এখান থেকে ভালো আয় করেছেন, আসুন এই ব্যবসা সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন।
কিভাবে আকর্ষণীয় করে তুলবেন?
অনেকেই ভাবছেন এই ব্যাবসা মানে লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশি বোতল, প্লাস্টিক জোগাড় করতে হবে। তা কিন্তু নয়। আপনি শুধুমাত্র ইলেক্ট্রনিক প্রোডাক্ট সংরহ করবেন। একটি উদাহরন দিয়ে বোঝানো যাক, আপনি যখন একটি নতুন ফ্রিজ কিনতে যান, শপিং মলে আপনার পুরাতন ফ্রিজ যদি এক্সেঞ্জ করেন তাহলে আপনি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ডিস্কাউন্ট পাবেন। কিন্তু জানেন কি ঐ ফ্রিজ বা ইলেক্ট্রনিক্স এর অনেকগুলো পার্টস ই ভালো থাকে, যার দাম ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। Unique Business Ideas
একটা তথ্য শুনে অবাক হবেন, নিক্কন কোম্পানীর কিছু সাদাকালো টিভি জাপান থেকে ভারতে আসে। সেই সাদাকালো টিভির কয়েকটি পার্টস এর দাম আকাশ ছোঁয়া। অনেক টেকনিশিয়ান সেই পার্টস বিক্রয় করে কোটি টাকা রোজগার করেছে। তেমনি রেড মার্কারি অনেক টিভিতে ব্যাবহ্রিত হতো, সেগুলো এখন অনেক দামে বিক্রয় হয়।
এই ব্যাবসার ভবিষ্যৎঃ
প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়ন টনেরও বেশি পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়। আর, আমরা যদি ভারতের কথা বলি, তাহলে এখানেও এই পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থের (Unique Business Ideas) পরিমান নেহাতই কম নয়। তবে সবচেয়ে কঠিন কাজ হল বিপুল পরিমাণ এই পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থের ব্যবস্থাপনা করা।
আপনাকে কি করতে হবেঃ
পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থের (recycle business) ব্যবসা করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে এই পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থ টা কী। আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে সব ইলেক্ট্রনিক জিনিস ব্যাবহার করি তার থেকেই পাওয়া যায় এই পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থ। যেমন ধরে নেওয়া যাক আপনার বাড়িতে একটি নষ্ট কম্পিউটার পড়ে আছে, কম্পিউটারটি নষ্ট তার মানে এইটা নয় যে তার পুরোটাই একেবারে নষ্ট। এর এমন অনেক পার্টস আছে যা পুনর্ব্যবহারযোগ্য। শুধু কম্পিউটার নয় প্রত্যেকটি ইলেক্ট্রনিক জিনিসই পুনর্ব্যবহারযোগ্য হয়ে থাকে। (Unique Business Ideas)
বর্তমান পৃথিবীতে এখন পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থ থেকে নতুন নতুন জিনিস বানানো হচ্ছে। অনেক ইলেক্ট্রনিক গেজেটে পুনরায় ব্যাবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও সাজানোর জিনিসপত্র, গহনা, ছবি আঁকার মতো জিনিস তৈরি করে মানুষ এটিকে একটি লাভজনক ব্যবসায় রূপান্তরিত করেছে। (Unique Business Ideas)
এ ব্যবসা থেকে মানুষ আয় করছে লাখ লাখ টাকা। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য, প্রথমে আপনাকে আপনার এবং আপনার বাড়ির আশেপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেছে বেছে সব পুরানো নষ্ট ইলেক্ট্রনিক গেজেট সংগ্রহ করতে হবে। আপনি চাইলে বিভিন্ন বড় বড় মেকানিক দোকান থেকেও এটি সংগ্রহ করতে পারেন। অনেকই আজকাল বাড়ি খালি করার জন্য পুরানো নষ্ট ইলেক্ট্রনিক গেজেট দানও করে থাকে। (Unique Business Ideas)
সেইরকম বাড়ির খোঁজ নিয়ে সেখান থেকে কিনেও আনতে পারবেন। এর পরে, সেই নষ্ট ইলেক্ট্রনিক গেজেটগুলো ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর এর থেকে বিভিন্ন ব্যাবহার যোগ্য আইটেমে গুলো আলাদা করতে হবে। এরপরে এই জিনিসগুলি আপনি নানা রকম ভাবে ব্যাবহার করতে পারবেন । এছাড়াও পুরানো ইলেক্ট্রনিক জিনিস গুলো থেকে পাওয়া বিভিন্ন পার্টস গুলো ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টে বিক্রি করে আপনি হতে পারবেন লাভবান।
কিভাবে শুরু করবেন?
১) প্রথমে আপনাকে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করতে হবে। তার মধ্যে ১০ হাজার টাকা ২ জন কর্মীর বেতন। দুই জনের মধ্যে একজন ইলেক্ত্রিসিয়ান থাকবে একজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংরহ করবে। আর ১০ হাজার টাকা দিয়ে আপনি পুরাতন জিনিস কিনবেন।
২) ইন্টারনেটে স্ক্রাপট ডিলার এর খোজ নিতে হবে। যারা ইলেক্ট্রনিক স্ক্রাপ্ট নিয়ে থাকে।
৩) একজন ক্রেতা দোকানে যদি ৫০০ টাকা এক্সেঞ্জ ভ্যালু পায়, তবে আপনাকে তার বেশী দিতে হবে, তাহলে একজন ক্রেতা এক্সেংজ না করে আপনার কাছে পুরাতন জিনিস বিক্রয় করবে। এছাড়াও পুরাতন মোবাইল এর অনেক পার্টস ও অনেক দামে বিক্রয় করা যায়। এবং সেগুলো আপনার বাড়িতে এনে ইলেক্ট্রিসিয়াঙ্কে দিয়ে খুলে দেখতে হবে কোন কোন পার্টস ভালো আছে, সেই পার্টস গুলো যদি আপনি ইলেক্ত্রনিক্স এর সার্ভিস সেন্টারে বেচতে পারেন তবে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং বাকিগুলো স্ক্রাপ্ট ডিলার কে বেচে দেবেন।
আরও পড়ুন, এই ব্যাবসায় পুজি লাগবেনা, লাগবে শুধু টেকনিক, আয় মাসে ৫০ হাজার।
৪) এইভাবে আপনি সহজেই এই ব্যবসাকে দাড় করাতে পারবেন। আর এরপর আপনার পরিচিতি লাভ করলে লোকে এসেই আপনার কাছে পুরাতন নষ্ট জিনিস বেচতে আসবে।
আয় কেমন?
আমাদের দেশে অনেকেই আছেন যারা এই ব্যবসা করে প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা আয় করছেন এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এমন অনেকেই আছেন যারা পুরাতন মোবাইল সংরহ করেন, এবং তার ডিসপ্লে, ও বিভিন্ন পার্টস বিভিন্ন সার্ভিস সেন্টারে বিক্রয় করে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আয় করে। সুতরাং এই ব্যবসা করে আপনিও খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন এবং এটি এমন ব্যবসা যা আপনি যদি ঠিক মতন করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
কেমন লাগলো আজকের প্রতিবেদনটি? এরকমই একটি সুপরিচিত সাধারন ব্যাবসাকে মোডিফাই করে আপনি একটি ইউনিক ব্যাবসার শুরু করতে পারেন। আর এরকমই আরও অনেক আকর্ষণীয় প্রতিবেদন পড়তে চোখ রাখুন আমাদের এই ওয়েবসাইটে। নিচে আরও অনেক আইডিয়া আছে, সেগুলো পড়তে লিঙ্ক এর উপরে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন, সরকারী সাহায্য নিয়ে একবার এই ব্যাবসা শুরু করলে, সারা জীবন নিশ্চিন্ত
বিনামুল্যে আমূলের ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় করুন, এই অফার আর পাবেন না