শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা লাভের পথে অর্থনৈতিক সমস্যা যেন কোনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার আগেই Vidyalaxmi Loan এর মতো অনেক ধরনের প্রকল্প চালু করেছে। এবার প্রধানমন্ত্রী বিদ্যালক্ষ্মী যোজনার (PM Vidyalaxmi Yojana) মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা লোন দেওয়ার ঘোষণা করেছে সরকার। একেবারে স্বল্প সুদে সহজ শর্তে এই Education Loan বা ঋণ প্রদান করা হবে। কোনো গ্যারেন্টার ছাড়াই পাওয়া যাবে লোন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা লাভ সহজ হবে বলে আশা করা যায়।
Vidyalaxmi Loan for students
সাধারণত শিক্ষার্থীরা বড় ঋণ নিতে গেলে তাদের গ্যারান্টি দিতে হয়, যা অনেক সময়ই আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেই সমস্যা সমাধান করতেই প্রধানমন্ত্রী বিদ্যালক্ষ্মী যোজনার আওতায় শিক্ষা ঋণে গ্যারান্টির বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন যে, এই যোজনা দেশের যুবশক্তিকে ক্ষমতায়ন করতে সহায়ক হবে এবং শিক্ষার্থীদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে প্রেরণা দেবে। প্রকল্পটি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিদ্যা লক্ষ্মী এডুকেশন লোন প্রকল্পের সুবিধা
এই যোজনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণই পাবে না, বরং ঋণের উপর ৩ শতাংশ সুদের ভর্তুকিও পাবে। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যালক্ষ্মী যোজনায় প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করতে যাচ্ছে, যা প্রমাণ করে কতটা গুরুত্ব সহকারে এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ঋণের উপর ৭৫ শতাংশ ক্রেডিট গ্যারান্টিও প্রদান করা হবে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের পথকে সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
এই ঋণ সুবিধা পেতে হলে আবেদনকারীর বার্ষিক পারিবারিক আয় সর্বোচ্চ ৪.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে হবে। এছাড়াও, যে শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণি পাস করেছে এবং আরও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তারাও এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবে। বিভিন্ন ডিগ্রি বা কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য এই ঋণ সহায়তা প্রযোজ্য।
আবেদন প্রক্রিয়া
প্রধানমন্ত্রী বিদ্যালক্ষ্মী যোজনায় আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট তথা Vidyalaxmi Loan Portal এ গিয়ে একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে একটি নম্বর ও পাসওয়ার্ড প্রদান করা হবে, যা পরবর্তীতে লগইন করতে ব্যবহৃত হবে। এরপর আবেদনকারীরা তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোড করে আবেদন করতে পারবে এবং আবেদন অনুমোদিত হলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঋণ ট্রান্সফার করা হবে।
আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় নথি
Vidyalaxmi Education Loan আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি প্রয়োজনীয় নথি যেমন, আধার কার্ড, আয়ের শংসাপত্র, দ্বাদশ শ্রেণির মার্কশীট এবং ঠিকানা প্রমাণ প্রয়োজন। এইসব নথি সঠিকভাবে প্রদান করলে আবেদন প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।
সুতরাং যারা এই ধরনের এডুকেশন লোন নিতে চান, তারা এই সরকারি প্রকল্পে আবেদন করলে, একদিকে সুদ যেমন কম হবে। অন্যদিকে সরকারি ভর্তুকি ও পাওয়া যাবে। এছাড়া সারা দেশের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ ও চালু রয়েছে। সেখানে আবেদন করলেও আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে। স্কলারশিপ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন।
Written by Nabadip Saha.