বর্তমান সময়ে গ্রাজুয়েশন উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা অনেকেই পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার (WBCS Exam) প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। WBCS পরীক্ষাটি পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন ব্যবস্থায় সরকারি অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। প্রতিবছর, এই পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন উচ্চ স্তরের সরকারি পদে নিয়োগ করা হয়। তাই এই পরীক্ষা প্রার্থীদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে থাকে। আর সেই কারণে অনেকেই একবার বা দুবার চেষ্টা করেই পরীক্ষায় পাস করতে পারেন না। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার জন্য অ্যাটেম্পট এর একটি নির্দিষ্ট সীমা এবং বয়সের লিমিটেশন আছে। যা অতিক্রম করলে আর এই পরীক্ষায় বসা যায় না। আজকের প্রতিবেদনে এই নিয়মগুলি নিয়েই আলোচনা করব। যারা যারা পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বা অ্যাস্পিরেন্ট তাদের অবশ্যই বিষয়টি জেনে রাখা দরকার।
WBCS পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়?
পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সংখ্যা বা “Attempts” নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক ভুল বোঝাবুঝি দেখা দেয়। সাধারণভাবে, পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রার্থীরা যতবার চান ততবার পরীক্ষা দিতে পারেন। কিন্তু বয়সের নির্দিষ্ট সীমা মেনে চলা জরুরি। একজন ততদিন পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারবে যতদিন সে নির্দিষ্ট বয়সসীমার মধ্যে থাকবে। এই বয়সসীমা বিভিন্ন পদের জন্য বিভিন্ন রকম।
বয়স সীমা
WBCS পরীক্ষায় আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের বয়স সীমা বিভিন্ন পদ অনুযায়ী আলাদা।
১. Group A (WBCS Executive, Agricultural Income Tax Service, West Bengal Commercial Tax Service): ২১ থেকে ৩৬ বছর
২. Group B (West Bengal Police Service): ২০ থেকে ৩৬ বছর
৩. Group C (Joint Block Development Officer, Junior Social Development Officer, Assistant Commercial Tax Service): ২১ থেকে ৩৯ বছর
৪. Group D (Rehabilitation Officer, Panchayat Development Officer): ২১ থেকে ৪০ বছর
তবে, SC/ST এবং OBC প্রার্থীদের জন্য বয়সের উপর কিছু ছাড় রয়েছে। সাধারণ প্রার্থীদের তুলনায় অনগ্রসর শ্রেণীর প্রার্থীরা ৫ বছরের এবং OBC প্রার্থীরা ৩ বছরের বয়স ছাড় পেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন, বেকার ছেলে মেয়েদের মাসে ২১০০০ টাকা দিচ্ছে LIC. অনলাইনে আজই আবেদন করুন
WBCS পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য প্রস্তুতি
WBCS পরীক্ষার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রার্থীদের জন্য সঠিক প্রস্তুতির মাধ্যমে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে পরীক্ষাটি উত্তীর্ণ করার লক্ষ্য রাখা উচিত। প্রথমবারের চেষ্টা সফল না হলে, দ্বিতীয় বা তৃতীয় চেষ্টা করার কথা মাথায় রাখতে হবে। এজন্য নিম্নলিখিতভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
WBCS Syllabus
১. সিলেবাস বোঝা: WBCS পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে হবে। পরীক্ষার বিভিন্ন অংশ যেমন সাধারণ তথ্য, গাণিতিক দক্ষতা, যুক্তি, এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রভৃতি বিষয়ে পড়াশোনা করতে হবে।
২. নির্দিষ্ট সময়ে পড়াশোনা: একটি সময়সূচী তৈরি করে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। এতে পরীক্ষার বিষয়বস্তু বুঝতে সুবিধা হবে এবং সময় ব্যবস্থাপনা উন্নত হবে।
৩. মক টেস্ট: নিয়মিত মক টেস্ট দিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। এটি পরীক্ষার চাপ কমাতে এবং প্রশ্নপত্রের ধরন বুঝতে সাহায্য করবে।
৪. কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর জ্ঞান: দেশের ও রাজ্যের বর্তমান ঘটনাবলী বা কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কে সর্বদা আপডেট রাখতে হবে। এটি সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে, যা পরীক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
WBCS অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য, সিলেবাস এবং পরীক্ষার সময়সূচী সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (WBPSC) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পরিদর্শন করা উচিত। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট.
Written by Nabadip Saha.