ভারতের অর্থনীতির মেরুদণ্ড যেখানে কৃষি, সেই অবস্থায় দাড়িয়ে বেশিরভাগ কৃষকেরাই (Farmers) আজও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে! Krishak Bandhu বা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের কৃষকদের জন্য বছরে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা তো দিয়েই থাকে। আর এবার সরাসরি কম দামে উন্নত মানের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার সুযোগ এনেছে কৃষি দপ্তর।
Subsidy for Agricultural Equipment in Krishak Bandhu Scheme
এই Krishak Bandhu প্রকল্পের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি ও স্বল্প দামে যন্ত্রপাতি কিনতে পারবেন বাংলার কৃষকেরা। উদ্দেশ্য, যাতে তারা কম খরচে তাদের কৃষিকাজকে উন্নত করতে পারেন। যেকোনো কৃষক এর আওতায় সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া কি? কি কি নথিপত্র লাগছে? সব জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
কী কী সুবিধা পাবেন?
এই প্রকল্পের অধীনে মূলত কৃষিক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি (Agricultural Equipment) কেনার ওপর নির্দিষ্ট টাকা ছাড় দেবে সরকার। এই যন্ত্রপাতি দেওয়ার জন্য রাজ্যে ১১০০টি কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়া কেন্দ্র (কাস্টম হায়ারিং সেন্টার) স্থাপন করা হবে। এইসব কেন্দ্রগুলোতে গিয়েই যন্ত্রপাতি কিনতে হবে কৃষকবন্ধুদের। প্রতি ক্রয়বিক্রয়ের ওপর নির্দিষ্ট টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৪টি উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষকদের যন্ত্র সরবরাহ করা হবে।
১. ছোট কৃষি যন্ত্রঃ
এই প্রকল্পের অধীনে যন্ত্রপাতির ক্রয় মূল্যের উপর ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে। ভর্তুকির উধসীমা ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
২. তেল বা বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতিঃ
ট্রাক্টর, পাম্প মেশিন প্রভ্রিতির ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে। তবে ভর্তুকির পরিমান সর্বাধিক ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
৩. ভাড়া নেওয়া কৃষি যন্ত্রপাতিঃ
অস্থায়ী সময়ের জন্য, সরকারি ভাড়া কেন্দ্র থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি (Agriculture Machines) ভাড়া নিলে, ভাড়ার পরিমানের ৪০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে। ন্যূনতম প্রকল্প মূল্য ২০ লক্ষ টাকা।
৪. কৃষি যন্ত্রপাতি ভর্তুকির পরিমানঃ স্থায়ীরূপে বড় যন্ত্র স্থাপনের জন্য ৮০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে। ভর্তুকির পরিমান সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
এই ব্যাপার গুলো ভালো করে বুঝতে আপনার নিকটস্থ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করুন।
আবেদনে জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. আবেদনকারীর আধার কার্ড
২. ভোটার কার্ড
৩. ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ
৪. এক কপি ছবি
৫. অনলাইন আবেদনের প্রিন্টেড কপি
আবেদন প্রক্রিয়া
১. সম্পূর্ণ অনলাইনে আবেদন করতে হবে, এজন্য কৃষি দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।
২. আবেদনের লিংকে ক্লিক করে আবেদনপত্র পূরণ করুন।
৩. অনলাইন আবেদনের পর, আবেদনের কপি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন কৃষি দপ্তরের অফিসে।
৪. যাচাই-বাছাইয়ের পর, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ভর্তুকি টাকা জমা হবে।
আরও পড়ুন, – আপনার এলাকায় ফের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প কবে? লক্ষ্মীর ভান্ডার ও ছেলেদের প্রকল্পে আবেদন কবে?
কবে থেকে শুরু?
এই প্রকল্পটি চালু হয়েছে ১ এপ্রিল ২০২৪ থেকে। খুব বেশিদিন কিন্তু আবেদন প্রক্রিয়া চলবে না। তাই যারা এই লাভ নিতে চান আর দেরি না করে দ্রুত আবেদন করুন এবং উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আপনার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করুন। আরো বিস্তারিত জানতে, পশ্চিমবঙ্গ কৃষি দপ্তরের ওয়েবসাইট দেখুন। এবং কোনও রকম প্রশ্ন থাকলে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করুন, তারপর আবেদন করুন।
Written by Nabadip Saha.