বাংলার কৃষকদের (Farmers) এবার হতে চলেছে বড় লাভ। আর গাদাগাদা ফসল ফলিয়েও (Cultivation) নামমাত্র মূল্যের জন্য আক্ষেপ করতে হবে না কাউকে। শুধু এই ধানের চাষ (Rice Farming or Paddy Cultivation) করলেই প্রচুর লাভ হতে পারে। কারণ এই ধান প্রচুর দামে বিক্রয় হবে, এবং বাজারে চাহিদা ও ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। বর্তমানে এই নতুন লাভজনক ধানের প্রজাতি নিয়ে চর্চায় গোটা রাজ্যের কৃষক শ্রেণী। রাজ্যের চাষীদের উন্নতির কথা চিন্তা করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal).
Costly Paddy Cultivation Start in West Bengal.
যাতে তাদের কষ্ট কম, লাভ বেশি হয়। এবার এই রকমই আরো একটি পদক্ষেপে চরম উপকৃত হলেন কৃষকরা। রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় জুড়ে শুরু করা হয়েছে নতুন প্রজাতির ধানের চাষ (Paddy Cultivation). চিরাচরিত জাতের ধানের বাইরে গিয়ে এই অভিনব ধান চাষে (Paddy Procurement) লাভের মুখ দেখছেন বাংলার কৃষকরা বর্তমানে। আর এই খবর শুনে রীতিমত খুশি সকল কৃষকবন্ধুরা (Krishak Bandhu).
Where to cultivate?
পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকায় শুরু হয়েছে এই ধানের চাষ। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বায়োডাইভারসিটি বোর্ড মারফত উদ্যোগ নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হয়েছে নতুন ধরনের ধান চাষ। গত 2019 সালে সুন্দরবনে দুই থেকে তিন বিঘা জমি চুক্তিতে নিয়ে কৃষিকাজ শুরু করা হয় সর্ব প্রথম। পরবর্তীকালে ফলন ভালো হওয়ায় এবং তার জনপ্রিয়তা বাড়ায় আরো জমি অন্তর্ভুক্ত করা হয় এই চাষের মধ্যে। বর্তমানে সুন্দরবনের মোট আট হেক্টর জমিতে এই ধরনের ধান চাষ (Cultivation of paddy) করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে গোসাবার টিটলিঘেরা, শান্তিগাছি এবং কুলতলির মইপীঠ গ্রাম গুলোও।
Why This Cultivation Rice Is Profitable?
বাঙ্গালীদের প্রধান খাদ্য হলো ভাত। আর তাই পশ্চিমবঙ্গ ধান চাষে (Agriculture Paddy) দেশের মধ্যে সেরা। গরিবের খাদ্যপযোগী নিম্নমানের চাল থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বীকৃতি পাওয়া উচ্চমানের চাল সবই প্রস্তুত হয় এই রাজ্যে। এই সমস্ত উচ্চমানের চাল একদিকে যেমন সুগন্ধি তেমনি অন্যদিকে অত্যন্ত ফাইন প্রকৃতির হয়। যে গুলোর চাহিদা দেশীয় বাজারে এমনকি বিশ্বে প্রচুর।
এই সমস্ত চালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রজাতি হলো মরিশাল, মেঘনা, মাছ কন্যা, বিরহী, কলাবতী, খণ্ডগিরি, লাল জোয়ারি, দোপানা, তুলাই পাঞ্জি, খেজুর ছড়ি, হরিণ খুরি, নাগেশ্বরী, তুলসী মুকুল, নরসিংহ ইত্যাদি। এই সব জাতের চাল একেকটি বিক্রি হয় ১১০ থেকে ২৫০ টাকা কিলো দরে। ফলে এগুলো চাষ (Paddy Cultivation) করে সহজেই লাভ পেতে পারেন কৃষকরা।
Start this cultivation of paddy cropping without investment
যে সমস্ত কৃষকরা চাইবেন তারা বিনা খরচায় শুরু করতে পারেন এই সমস্ত উন্নত প্রকৃতির ধান চাষ এবং কমাতে পারেন লক্ষ লক্ষ টাকা। কিভাবে তা সম্ভব? এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে সরকার। যেহেতু রাজ্য সরকার নিজে উদ্যোগ নিয়ে এই লাভের দিশা দেখিয়েছে তাই তাদের তরফ থেকেই সাহায্য পাবেন কৃষকেরা। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার দেশের কৃষি ব্যবস্থার উন্নতির স্বার্থে একাধিক স্কিম (Cultivation Scheme) চালু করেছে।
পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্পে আবেদন করলেই পাবেন ৫০০০ টাকা। কাদের জন্য এই প্রকল্প ও কিভাবে আবেদন করবেন?
যেখানে কৃষিক্ষেত্রে উন্নত বীজ, সার, কীটনাশক, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ব্যবহারের জন্য স্বল্প সুদে এবং সুবিধাজনক শর্তে ঋণ দেয় সরকার। কোনো দরিদ্র চাষী হোক বা ভাগ চাষী সবাই এই ঋণ নিয়ে নিজেদের চাষবাসকে (Cultivation) আর উন্নত করতে পারেন কৃষকরা। আর এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের আয় অনেকটাই বৃদ্ধি পেতে চলেছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
Written by Nabadip Saha.
প্রতিমাসে কতবার ফ্রিতে ATM থেকে টাকা তোলা যাবে! বেশি হলে কত টাকা কাটবে?