Loan Scheme – 1.40 কোটি মানুষকে সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। কিভাবে পাবেন জেনে নিন।

আমাদের সকলেরই জীবনে অর্থের প্রয়োজন হয়। আর এই জন্য আমাদের ঋণ (Loan Scheme) নেওয়ার দরকার হয়। এবার সোনায় সোহাগা বঙ্গবাসীর। কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) অর্থ পাঠানো নিয়ে এতদিন নানা ধরনের অভিযোগ তুলে এসেছে আমাদের রাজ্য। কখনো আমফান ঝড়ের জন্য পাঠানো অর্থ নিয়ে, কখনো বাংলা আবাস যোজনার (Bangla Awas Yojana) টাকা নিয়ে, আবার কখনো সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধির (DA Hike) টাকা নিয়ে।

Government Loan Scheme Online Apply Process.

বারবার রাজ্য একটাই নালিশ জানিয়েছে যে কেন্দ্র নাকি কখনো ঠিক মতো টাকা পাঠায় না পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal). পশ্চিমবঙ্গবাসীদের জন্য কোন খেয়ালই নেই কেন্দ্রের (Central Government Loan Scheme). এবার সেই ধারণা কেই সম্পূর্ণ বদলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ভোটের আগেই কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের পকেটে ঢুকল ১৩৭৪৫ কোটি টাকা!! যার বেশিরভাগ সুবিধাটাই এই রাজ্যের মধ্যবিত্ত মানুষকে দেওয়া হবে বলে জানানো হল।

কেন দেওয়া হচ্ছে এই টাকা? কি উপকার হবে এখান থেকে? কারা কারা পাবেন টাকা? জেনে নিন। আমাদের দেশে শিল্পের বাজারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থা গুলি সংখ্যায় বেশি। এই গুলির উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নানা ধরনের স্কিম চালু করেছে। যেখানে স্বল্প সুদে ঋণ (Loan Scheme) নিয়ে উদ্যোগ পতিরা নিজের ব্যবসাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারেন। এরকমই একটি লোনের নাম হল ‘এমার্জেন্সি লাইন ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম’ (Emergency Credit Line Guranteed Scheme).

কোভিড অতিমারীর পর ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পগুলিকে আবারো মাথা ছাড়া দিয়ে ওঠার জন্য এই ঋণ (Loan Scheme) শুরু করেছিল কেন্দ্র। কোন রকম সম্পত্তি বন্ধক না রেখেই কেন্দ্রীয় সরকার লোন দেয় ব্যবসায়ীদের এখান থেকে। ২,৪২,৭৬৮.৬২ কোটি টাকার এই রকম লোন (Loan Scheme) দেওয়া হয়েছে এখনো। মোট ১ কোটি ১৪ লাখ মানুষ এই ঋণের (Government Loan) সুবিধা নিয়েছেন। যার মধ্যে ২০ লাখ মানুষ রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকেই।

৭ই মার্চ পর্যন্ত প্রকাশিত ঋণের (Loan Scheme) পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের।সুবিধাভোগীদের সংখ্যার নিরিখে এই রাজ্যই শীর্ষস্থানে রয়েছে। মোট ১৪ লাখ সুবিধাভোগীদের ১৬ শতাংশ আমাদের রাজ্যের। এরপর রয়েছে যথাক্রমে মহারাষ্ট্র যেখানে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৮.৫৬ শতাংশ, ওড়িশা যেখানে সুবিধাভোগীদের সংখ্যা ৮.১৫ শতাংশ, তামিলনাড়ুতে ৭.৬৯ শতাংশ এবং কর্ণাটকে ৭.৬৭ শতাংশ।

অবশ্য সুবিধাভোগীদের দিক থেকে রাজ্য প্রথমে থাকলেও তালিকায় একটি ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছে। Loan Scheme এর মোট অ্যামাউন্ট এর নিরিখে সবচেয়ে আগে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্র পেয়েছে এই ঋণের সবচেয়ে বেশি টাকা যার পরিমাণ প্রায় ৩৪,১০৭.৫৩ কোটি। এরপর রয়েছে তামিলনাড়ু (২৭,১৪১.৪৯ কোটি টাকা), গুজরাট (২৪,৪৯৩.৯৫ কোটি টাকা), উত্তরপ্রদেশ (১৭,১১০.৮৪ কোটি টাকা), কর্ণাটক (১৬,০৫৭.২০ কোটি টাকা), আর সবার শেষে পশ্চিমবঙ্গ (১৩,৭৪৫.৭১ কোটি)।

ইমারজেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি লোন (Emergency Credit Line Guranteed Loan Scheme) দেওয়ার জন্য মোট ৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় কোষাগার থেকে। কিন্তু সুবিধার কথা চিন্তা করে পরে আরো ১.৫ লাখ কোটি যোগ করা হয়। যাতে এর পরিমাণ এসে দাঁড়ায় ৪.৫ লক্ষ কোটিতে। সবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০০০০ কোটি বিনিয়োগ বাড়িয়েছে আরো এই প্রকল্পে।

SBI E Mudra Loan - মুদ্রা লোন

এখন রাজ্য গুলির শিল্প সংস্থা দের দেওয়ার জন্য মোট ৫ লক্ষ কোটি টাকা রিলিজ করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সব রাজ্যে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও চলে এসেছে। শুধু ঋণের (Loan Scheme) টাকা এখন ভাগ করে দেওয়ার পালা রাজ্য সরকারের। সেই টুকুতেই যা সময় লাগবে। আর আপনারা এই জন্য আবেদন করতে চাইলে এই সম্পর্কে www.eclgs.com ওয়েবসাইটে গিয়ে জেনে নিতে পারবেন।

1 লাখ টাকা বিনিয়োগে পাবেন 2 লাখ টাকা। কম সময়ে টাকা ডবল করার সেরা উপায় জেনে নিন।

আর এই Loan Scheme ছাড়াও আপনারা কেন্দ্রীয় সরকারের আরও একাধিক লোন স্কিমে আবেদন করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের আরও কয়েকটি ঋণ প্রকল্প সম্পর্কে জেনে নিন। MSME Loan, SBI E Mudra Loan, Business Loan, E Mudra Loan. এই সকল ঋণ সম্পর্কে আপনারা ক্লিক করে জেনে নিন। যাতে আর কারোর কাছে দরকারে হাত পাততে না হয়।
Written by Nabadip Saha.

নতুন ব্যবসা করতে টাকা দিচ্ছে সরকার। Business Loan পাবেন এইভাবে আবেদন করলে।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment