চিকিৎসা ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেল আমাদের রাজ্য Narayana Hrudayalaya বা নারায়ণ হৃদয়ালয়ের হাত ধরে। এবার আর উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে হবে না ব্যাঙ্গালোরে (Bengaluru) বা চেন্নাইয়ে (Chennai). কলকাতাতেই (Kolkata) মিলবে সমস্ত ধরনের আধুনিক পরিষেবা। বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর দেবি শেঠি (Devi Shetty) আজ এই কথা ঘোষণা করলেন। অনেকদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) কলকাতা শহরে একটি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল (Super Speciality Hospital) গড়ে তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
Narayana Hrudayalaya Now In Kolkata.
পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal) অনুমোদন দিল তাতে। দেবী শেঠির মতে, “বাংলা বর্তমানে যথেষ্ট উন্নত। এখানে কলকাতা, বাঁকুড়াতে দেশের অন্যতম সেরা মেডিকেল কলেজ রয়েছে। তাই ব্যাঙ্গালোরের মতো উন্নত চিকিৎসা ক্ষেত্রে এখানেও তৈরি করা সম্ভব। তার ফলে মানুষকে আর কষ্ট করে অন্য রাজ্যে যেতে হবে না। কলকাতার EM Bypass ধারে আগে ডক্টর দেবি শেঠির একটি হাসপাতাল (Hospital) ছিল, তার নাম ছিল নারায়ণ হৃদয়ালয়া (Narayana Hrudayalaya).
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এই নারায়ন হৃদয়ালয়াকে (Narayana Hrudayalaya) একটি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে পরিণত করার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তখন এর জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। তাই তিনি বাধ্য হয়ে কর্নাটকে নারায়ণা হৃদয়ালয়ের অনুরূপ একটি হসপিটাল গড়ে তোলেন। যেখানে বর্তমানে দেশের মধ্যে সেরা হার্টের চিকিৎসা হয়। কিন্তু এবার এ রাজ্যের ও চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নত করতে ডাঃ দেবী শেঠিকে এই রাজ্যে হাসপাতাল (Narayana Hrudayalaya) বানানোর অনুমতি দিল সরকার।
এজন্য গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারের কাছে ৭.২ একর জমি দেওয়া হয়েছে নারায়ণা হৃদয়ালয়া। কলকাতার নিউটাউন (New Town) এলাকায় দেবি শেঠির এই নতুন নারায়ণা হৃদয়ালয় (Narayana Hrudayalaya) হসপিটাল তৈরি হতে চলেছে। বিশিষ্ট ওই চিকিৎসক বলেছেন, “৩৩ বছর আগে যখন এসেছিলাম তখন আমি জুনিয়র হার্ট চিকিৎসক। ইচ্ছে ছিল সমাজের গরিব মানুষের হৃদরোগের চিকিৎসায় সাহায্য করার।
তবে বাংলার মানুষ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) ধন্যবাদ। শুধু হার্টের চিকিৎসাই নয়, গোটা দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থাই বদলে গিয়েছে। আমার ইচ্ছা ছিল এখানে একটি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করব। আমার ইচ্ছা আগামী দু’বছরে তা তৈরি করার। এখানে ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে। সরকারের কাছ থেকে নিজের Narayana Hrudayalaya জন্য জমি পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং কলকাতা পৌরসংস্থা (KMC) চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডক্টর দেবি শেঠি।
এদিকে জমি যখন বরাদ্দ হয়ে গেল এরপর বিনিয়োগের পালা। সরকারি আন্দাজ অনুযায়ী এই প্রজেক্টটি মোট ১০০০ কোটি টাকা মূল্যের হতে চলেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই হসপিটালে নির্মাণ কাজ শুরু করতে চলেছেন তারা। দুটি দফায় কাজ হবে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হতে দু বছর সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। দেড় বছরের মাথায় সফট লঞ্চ হবে (Narayana Hrudayalaya).
পশ্চিমবঙ্গের স্কুল পড়ুয়াদের এবার চালু হচ্ছে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স!
দেবি সেঠি জানিয়েছেন যে এই হাসপাতাল এত বড় হতে চলেছে যে ৫ থেকে ৭ হাজার রোগীকে এখানে একদিনে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন যে এই Narayana Hrudayalaya হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসা ছাড়াও অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট, ক্যান্সারের চিকিৎসা ও আরো অনেক জটিল সার্জারি গুলির ব্যবস্থা থাকবে। এর ফলে আর রাজ্যবাসীদের চিকিৎসার জন্য আর অন্যত্র ঘুরে বেরাতে হবে না।
Written by Nabadip Saha.