পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ খবর। শিক্ষক বা শিক্ষিকারা হল আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি করার মূল কারিগর। আর এবারে এই সকল কারিগর তথা শিক্ষকদের চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তর (West Bengal Education Department). কিন্তু কেন এবং কিসের জন্য এই চিঠি পাঠানো হচ্ছে? এছাড়াও এখন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) তরফ থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল গুলিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
West Bengal School Teacher Get Letter From WB Education Department.
চিঠিতে স্কুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে যে ছাত্র ছাত্রীদের কোন শিক্ষক (School Teacher) পড়ান? ওই শিক্ষকের অভিজ্ঞতা কত বছরের? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে। কি কারনে স্কুল গুলিকে পর্ষদ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে? বিস্তারিত ভাবে জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কি কারনে চিঠি পাঠাচ্ছে পর্ষদ? রাজ্য স্কুল গুলির জন্য নতুন শিক্ষানীতি (WB Education Policy) চালু করেছে রাজ্য সরকার।
এবার এই শিক্ষানীতির বিষয়ে দরকার আছে শিক্ষকদের (School Teacher) যোগ্যতার সমস্ত বিস্তারিত তথ্য। আর এই তথ্য গুলি জানার জন্য শিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal). সেই কারণে শিক্ষা দপ্তর চিঠি পাঠিয়েছে স্কুল গুলির কাছে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুল গুলির সাফল্যের পাশাপাশি কোন কোন শিক্ষক (School Teacher) ওই স্কুলে পড়াচ্ছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কত বছর ধরে তারা পড়াচ্ছেন এই সমস্ত বিষয় গুলি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board Of Secondary Education) স্কুল গুলির কাছে জানতে চেয়েছে।
আগামী বাইশে ডিসেম্বরের মধ্যে এই সমস্ত উত্তর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মাধ্যমে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্কুল গুলিকে। এত বছর পর শিক্ষকদের (School Teacher) যোগ্যতা জানতে চেয়েছে শিক্ষা দপ্তর আর এই বিষয়টিকে নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যেও নানা কথার সঞ্চার হয়েছে। এত বছর শিক্ষকতা করার পর কেন শিক্ষা দপ্তর তাদের যোগ্যতা বিচার করতে চাইছে? তবে বর্তমান সরকারের দাবি হলো বাম আমলেও শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) নিয়ে বহু দুর্নীতি সঞ্চার হয়েছিল।
এখন শিক্ষকদের (School Teacher) যোগ্যতা সমস্ত বিচার করার ফলে দেখা যাবে যে ওই দুর্নীতিতে কোনো শিক্ষক যোগ্যতা ছাড়া চাকরি পেয়েছেন কিনা। মানিক ভট্টাচার্য নামের বর্তমানে জেলে রয়েছেন। তিনি যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজে অধ্যক্ষ ছিলেন। তার এই নিয়োগটা হয়েছিল অবৈধভাবে। এই নিয়োগটা হয়েছিল বাম আমলে। গতকাল এই বিষয়ে ইউজিসি (UGC) কলকাতা হাইকোর্টেকে (Calcutta High Court) এই কথা জানিয়েছে।
প্রাইমারী টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড এক ক্লিকেই ডাউনলোড করে নিন।
তাই মনে করা হচ্ছে যে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষকদের (School Teacher) যোগ্যতা সম্পূর্ণ বিচার করে দেখা হলে বোঝা যাবে যে কোনো শিক্ষক যোগ্যতা ছাড়া চাকরি পেয়েছেন কিনা। আর যদি কেউ যোগ্যতা ছাড়া চাকরি পেয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই চিঠির সম্পর্কে এখনো অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে রাজ্যের শিক্ষকদের মধ্যে। আর আগামীদিনে এই নিয়ে এই নিয়ে আরও কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেই দিকে তাকিয়ে সকলে। Written By Nupur Chattopadhyay.
এই বিষয়ে পরবর্তী আপডেট পেতে EK24 News ফলো করুন।
আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের WhatsApp করতে এখানে ক্লিক করুন।