দেশের সাধারণ মানুষ যাতে দুই বেলা দুই মুঠো অন্য পায়, সে জন্য দেশের চালু হয়েছে রেশন (Ration Items) ব্যবস্থা। এই রেশন ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে প্রতি মাসে বিনামূল্যে কিংবা কম দামে খাদ্য দ্রব্য পেয়ে থাকে সাধারণ মানুষ। রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে নানা পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। দেশের মানুষদের কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে আর্থিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে একাধিক প্রকল্প বাজরে এনেছে উভয় সরকার।
রেশন কার্ড দেশের প্রত্যেক নাগরিকদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই কার্ড ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। এই কার্ড দেখিয়ে রেশন দোকান থেকে কম দামে খাদ্যশস্য পায় মানুষ। করোনা মহামারীর সময় রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার মিলিত ভাবে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য প্রদান করেছিল। এই কার্ডের মধ্যে দিয়ে চাল, গম, আটা, চিনি দেওয়া হয় থাকে।
Additional Ration Items during the Month of Puja
দুর্গাপুজো আসতে আর বেশি দেরি নেই। এর মাঝেই ত্রিপুরা রাজ্যের সরকার রেশন নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল। এর ফলে ওই রাজ্যের বহু মানুষ পুজোর আগেই লাভবান হবেন। হাসি ফুটবে লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখে। সম্প্রতি ত্রিপুরা রাজ্যের খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ঘোষণা করেছিলেন যে, পুজোর আগেই রাজ্যবাসীকে পুজোয় উপহার হিসেবে রেশনের (Ration Items) সঙ্গে আরও বেশ কিছু জিনিস দেওয়া হবে। সেই মতো আজ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এর শুভ সূচনা করলেন।
ত্রিপুরা সরকার রাজ্যবাসীকে পুজো উপলক্ষে রেশনে ১ লিটার সর্ষের তেল, ২ কেজি ময়দা, ১ কেজি চিনি, ৫০০ গ্রাম আটা, ২ কেজি মুসুর ডাল দেওয়া হবে। এখানে ১১৩ টাকা কেজি দরে সর্ষের তেল কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। যদিও আগে ঠিক করা হয়েছিল ১২৮ টাকা কেজি দরে সর্ষের তেল বিক্রি করা হবে। তবে পরে সেই সিন্ধান্তছ বদল এনে ১২৮-র বদলে ১১৩ টাকায় সরিষার তেল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রেশন সামগ্রী এবার থেকে বায়োডিগ্রেডেবল ক্যানভাস ব্যাগে করে সরবরাহ করার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য ইতিমধ্যে ৩.৫৮ লক্ষ ব্যাগ তৈরি করা হয়ে গেছে।
আরোও পড়ুন » Lakshmir Bhandar – লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বিরাট বড় ঘোষণা। মা বোনেদের পুজোর বোনাস। কবে পাবেন টাকা?
এ বিষয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরো বলেন, নতুন মডেলে রেশন দোকান সাজানো হবে। রাজ্যের ৮টি জেলার মধ্যে ২,০৫৬ টি রেশন দোকান রয়েছে। যার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৬০০টি দোকান মডেল দোকানে রূপান্তরিত করা হবে। এর জন্য ৩০ লক্ষ টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। মডেল দোকান করার জন্য প্রত্যেক রেশন (Ration Items) দোকানকে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।