দুয়ারে সরকারে আবেদন করা রুপশ্রী প্রকল্পের অধিকাংশ ফর্ম ই বাতিল হয়েছে। সুত্রের খবর, কেউ সন্তানের মা, আবার কারও বিয়ে হয়েছে কয়েক বছর আগে, কেউ আবার কলেজ পড়ুয়া। তারা বিয়ের জন্য ভুয়ো নিমন্ত্রণের কার্ড বানিয়ে রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা নিতে দুয়ারে সরকারে আবেদন করছে। প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকা চূড়ান্ত করতে এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নিতেই চোখ কপালে উঠছে সরকারি কর্মীদের। আবেদনকারীদের সম্পর্কে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, কেউ বিবাহিত, তো কেউ কলেজ পড়ুয়া। কেউ আবার এক, দুই সন্তানের মা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা হাতাতে দুয়ারে সরকারে এমন ভুয়ো কনেদের খোঁজ মিলল। তাই ৫০ শতাংশ আবেদন বাতিল করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রূপশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা নিতে অবিবাহিত বলে নিজেদের দাবি করে দুয়ারে সরকারে এসে এমন আবেদন করছেন অনেকে। তাদের আদতে বিয়ে হচ্ছে কিনা, তার খোঁজ নিতে প্রশাসনের তরফে এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নিতেই পুরো ঘটনা সামনে আসে। ফলে আবেদনগুলি বাতিল করে দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই দেখে দুয়ারে সরকারে গিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করলে দ্রুত ২৫ হাজার টাকা পাওয়া যাবে এমনটা ভেবে অনেকে এমন কৌশল নিয়েছিল। ভুয়ো বিয়ের কার্ড, পঞ্জিকা দেখে বিয়ের দিনক্ষণ, পাত্রের নাম ঠিকানা, এমনকী অনেকে পাত্রের ছবিও জমা দিয়েছিল। এমনকী ভুয়ো বিয়ের কার্ড বানানোর পাশাপাশি বিবাহিত মহিলারা প্রকল্পের সুযোগ নিতে অবিবাহিত সেজে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আসে। সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেকে নিজের পরিচিত আত্মীয়দের পাত্র বানিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে সমস্ত কাগজপত্র জমা দেয়। কেউ আবার দুয়ারে সরকারে তাদের সশরীরে নিয়ে এসে পাত্র হিসেবে সরকারি কর্মীদের কাছে পরিচয় দেয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে প্রশাসনের কর্মীরা আবেদনকারীদের ঠিকানায় গিয়ে তদন্ত করে দেখতে পান কারও কারও দুই তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছে। কেউ আবার প্রেমিককে নিজের হবু বর হিসেবে পরিচয় দেয়। অনেকের আবার সন্তান রয়েছে। পুরো জেলা জুড়ে অধিকাংশ ক্যাম্পে এমন ভুয়ো কনের খোঁজ মিলেছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আগামীতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সে নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।