লোকসভা নির্বাচনের পরে এই রাজ্যের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইতিমধ্যেই কর্ণাটক রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশনের (7th Pay Commission) সুপারিশ কার্যকর (Employee Benefits) করার বিষয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সমস্ত ক্ষমতা প্রদান করেছেন। সেই আবহে আগামী ১৫ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরা ফের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসতে চলেছেন।
Pay Commission and Dearness Allowance
একটি রিপোর্টের দাবিতে বলা হচ্ছে, শীঘ্রই বেতন ও ডিএ বৃদ্ধি (DA Hike) নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে কর্নাটক সরকার। শাসক দল ইতিপূর্বেও ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) জন্য বহুল প্রতীক্ষিত সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত সরকার। আগের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছিল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল সুপারিশগুলি বাস্তবায়নের জন্য।
এর ক’দিন আগেই সরকারি কর্মীদের প্রতিনিধি দল রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন এবং পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে সরকারি কর্মীদের দাবিগুলি (Employee Benefits) পূরণের আশ্বাস দেন। এর ফলে ১৫ জুলাইয়ের মন্ত্রিসভার বৈঠকের (Dearness Allowance) দিকে নজর রেখেছেন কয়েক লাখ সরকারি কর্মী।
প্রসঙ্গত, কর্নাটকের ৫ লক্ষেরও বেশি সরকারি কর্মচারী এবং লক্ষাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী এখন রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন। উল্লেখ্য, রাজ্যের সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্ট ১৬ মার্চ (7th Pay Commission Report) অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে জমা পড়েছিল। সেখানে সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ৩ বছরের বেশি এক অফিসে নয়। নিয়ম চালু হয়ে গেল। কাদের জন্য এই অর্ডার?
বর্তমানে সেই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী মাইনে পেয়ে থাকেন। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, কর্নাটকের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম মূল বেতন ১৭ হাজার টাকা (Minimum Basic Pay) থেকে বাড়িয়ে ২৭ হাজার টাকা করা উচিত। নয়া বেতন কমিশনের আওতায় মাইনে বাড়ানোর (Salary Hike) দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরেই সরব ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
আরও পড়ুন, সরকারি কর্মীদের কাজে গাফিলতি করলেই বেতন কাটা হবে, যেতে পারে চাকরিও। নতুন নিয়ম চালু হলো
যখন বিজেপি সরকার কর্নাটকে ক্ষমতায় ছিল এবং বাসবরাজ বোম্মাই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন স্কেল সংশোধন করতে এবং নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের লক্ষ্যে সপ্তম রাজ্য বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিশনের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কমিশনের রিপোর্ট পেশ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরেই, তবে তা পেশ হয় ২০২৪-এর মার্চ মাসে।
এই আবহে, আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশাবাদী রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।