জুন মাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ তারপরেই হাইকোর্টের নির্দেশে একসঙ্গে ২৬৯ জন ‘ঘুষ দেওয়া শিক্ষকদের’ চাকরি চলে গেছিল৷ এই শিক্ষকরা নিজেদের স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না, এমনটাই এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷
চাকরি যাওয়া 269 জন প্রাথমিক শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ কী? জানালেন বিচারপতি।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ‘লাইফলাইন’ পেলেন এই বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই 269 জনকেও এবার যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে হাইকোর্ট সুত্রে জানা গেছে এই লিস্টে নাম আরও বাড়বে।
কী এই লাইফলাইন?
আসলে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির শুনানি শেষে গত ১৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট এই শিক্ষকদের বরখাস্ত করার রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে।
কারণ অভিযুক্তদের দাবী না শুনেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রায় এদের বরখাস্তের রায় দিয়েছিলেন। এরপরেই, এই ২৬৯ শিক্ষকের বক্তব্যও শুনতে হবে বলে নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এই রায় বরখাস্ত শিক্ষকদের কাছে আপাতভাবে লাইফলাইন হয়ে দেখা দিয়েছে।
180 ডিগ্রী ঘুরে গিয়ে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানালো পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ মেনেই গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে মামলার অংশগ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। এর জন্য কাগজপত্র জমা সহ যা যা করার প্রয়োজন তা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সেরে ফেলার নির্দেশ দেন ওই শিক্ষকদের আইনজীবীদের। মঙ্গলবারই প্রাথমিক শিক্ষালয়ের পর্ষদ অফিসে গিয়ে বৈঠকে বসেন ওই শিক্ষকদের আইনজীবীরা।
রাজ্যে বেহাল আর্থিক অবস্থায় উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ – হাইকোর্ট এর রায় কি হবে? বিস্তারিত জেনে নিন।
মামলা শেষে নির্ধারিত হবে ওই 269 জনের ভবিষ্যৎ। আবার তারা চাকরিতে জয়েন করতে পারবেন নাকি, বরাবরের মতো চাকরি হারালেন তারা, তা জানতে এখনও বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে মামলাকারী আইনজীবী জানিয়েছেন, একজন দোষী ও ছাড় পাবেন না, তবে বরখাস্ত শিক্ষকেরা চাইলে তাদেরও আইনি সহযোগিতা দেবেন।
অন্যদিকে রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের রোপা ও সার্ভিস বুক আপডেটের অর্ডার দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর সেখানেও আরেক ধাপ নথি যাচাই হবে। এছাড়াও মামলা চলাকালীন সব রকমের বদলিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বছর শেষে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পার করতে হবে
Written by Antara Banerjee.