রাজ্যে শিক্ষকদের পদোন্নতি বা প্রমোশন (Teachers Promotion) নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পাওয়া যাচ্ছে। অনেকদিন ধরেই এই ধরণের একটি খবর আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তরফে শুনতে পাচ্ছিলাম। এবারে এই নিয়ে চূড়ান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। ছাত্র-ছাত্রী হল আমাদের দেশের সম্পদ। একটি দেশ উন্নত হতে গেলে প্রথমেই যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটা হল দেশের নাগরিকদের শিক্ষিত হওয়া। আর দেশের নাগরিকদের শিক্ষা দেওয়ার কাজে যারা মুখ্য ভূমিকা পালন করে তারা হলেন আমাদের শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে সরকারের বড় আপডেট।
শিক্ষকদের (West Bengal Teachers) নতুন ভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি আরও একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কি উদ্যোগ নিয়েছে সেই ব্যাপারে জানতেই আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আগে থেকেই আমরা শুনে এসেছি অধ্যাপকদের পদোন্নতি হয়। প্রথমে অ্যসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তারপরে এসোসিয়েট প্রফেসর, প্রফেসর। কিন্তু স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতি এতদিন হতো না।
West Bengal School Teacher Promotion Procedure
এবার সেই শিক্ষকদের পদোন্নতির নিয়মের বদল আনতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government). এবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির মধ্যে রয়েছে ৬ জন সদস্য। এতদিন পর্যন্ত আমরা দেখে এসেছি একজন শিক্ষক স্কুলে চাকরিতে ঢুকলে প্রথম থেকে তার অবসর সময় পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক হিসেবেই তিনি থেকে যান। তাদের মানে শিক্ষকদের পদোন্নতি হয় না।
আবার একজন প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিসেবেই থেকে যান তারও কোনো পদোন্নতি হয় না। এবার এই নিয়মের বিপরীত নিয়ম আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রফেসরদের মতো শিক্ষকদের পদোন্নতি হবে। এই বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের (WB Education Department) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্কুলের শিক্ষকদের এতদিন পর্যন্ত কোনো পদোন্নতির হত না। একজন শিক্ষক সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগ দিতেন। তাঁর অবসরও হত সহকারী শিক্ষক হয়েই।
একজন প্রধান শিক্ষক ওই পদেই সারা জীবন কাজ করে থাকেন। এবার নতুন শিক্ষানীতি অনুসারে প্রফেসরদের মতো স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতি হবে। এর পাশাপাশি মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেছেন, কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং প্রফেসর নামে বিভিন্ন পদ রয়েছে। কিন্তু আমাদের স্কুল লেভেলে কাজের দক্ষতার ভিত্তিতে এইরকম কোনো প্রমোশনের পদ্ধতি নেই।
উচ্চ শিক্ষায় আছে অ্যাকাডেমিক পারফমেন্স ইনডিকেটর (এপিআই)। এই এপিআই স্কুলের শিক্ষকদের পদোন্নতি করতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেছেন, “আমাদের ছ’জনের কমিটি ঠিক করবে কী কী বিষয় দেখে শিক্ষকদের পদোন্নতি হতে পারে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের এই রিপোর্ট শিক্ষা দফতরে জমা দেওয়ার কথা।’ শিক্ষকদের পদোন্নতি করার জন্য কোন কোন কোন বিষয় গুলি দেখা হবে সেই সমস্ত জিনিস গুলি UGC (University Grants Commission) এর গাইডলাইনে রয়েছে।
Lakshmir Bhandar – লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা সরকারের, খুশির খবর সবার জন্য।
এই সমস্ত বিষয়ে চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন একজন প্রফেসারের পদোন্নতি করতে গেলে গবেষণামূলক কাজ, জার্নাল প্রকাশ, নানা আমন্ত্রণমূলক গবেষণাপত্র পড়া, লেকচার দেওয়া বিষয় গুলিকে দেখা হয়। কিন্তু স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম একটু ভিন্ন হবে কারণ স্কুলে তো গবেষণামূলক কাজ হয় না। স্কুলের শিক্ষকদের পদোন্নতি ঘটাতে গেলে দেখা হবে ওই শিক্ষকটি কোনো বই লিখলেন কিনা। ওই শিক্ষকটি স্কুল পরিচালনা কী ভাবে করছেন এই সমস্ত বিষয় গুলি।
Written By Nupur Chattopadhyay.