School Guidelines – আর ফাঁকিবাজি নয়, নতুন বছরের শুরুতে কড়া নিয়ম চালু হচ্ছে রাজ্যের সরকারি স্কুলে।

অতিমারীর ২ বছর ভুলে গিয়ে জানুয়ারী থেকে অবশেষে নতুন School Guidelines প্রকাশ করে নতুন ছন্দ্যে রাজ্যের শিক্ষার গতি আনতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এই দুই বছরে পড়াশোনায় অনেকটাই ভাটা পড়েছে, তাই বছরের শুরুতেই কড়াকড়ি School Guidelines চালু করে আগের মতো পড়ুয়াদের বিদ্যালয়মুখী করতে চাইছে রাজ্য সরকার।

West Bengal School Guidelines

রাখতে হবে সমস্ত ক্লাস রেকর্ড। নতুন বছরে শিক্ষকদের নয়া নির্দেশ বোর্ডের। পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ জারি করল এক School Guidelines নয়া নির্দেশিকা। রাজ্যের সকল সরকারি এবং সরকারি অনুদান প্রাপ্ত স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশে আনা হয়েছে এই নির্দেশিকা।

নতুন এই নির্দেশিকাতে জানানো হয়েছে, আগামী বছরের শিক্ষাবর্ষে অর্থাৎ, ২ জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিক্ষককে একটি ডায়েরি রাখতে হবে বাধ্যতামূলক ভাবে। কেমন হবে এই ডায়েরির ফর্ম্যাট, তাও প্রকাশ করা হয়েছে বোর্ডের তরফে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, টাইমটেবিল অনুযায়ী সব শিক্ষকদের নিজেদের সবকটি ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে এবং পড়ুয়াদের পড়াতে হবে। ডায়েরিতে লিখে রাখতে রোজকার ক্লাসের যাবতীয় তথ্য।

এই School Guidelines নির্দেশিকায় পড়ুয়াদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ স্তরে রাখার কথা বলেছে বোর্ড। ডায়েরিতে শিক্ষককে
রোজকার ক্লাসের রেকর্ড, কোথায় কোন পড়ুয়া পিছিয়ে রয়েছে বা কীভাবে তারা এগিয়ে চলেছে, পড়ানোর পদ্ধতি, শিক্ষা প্রদানের পরিকল্পনা, কত নম্বর অধ্যায়ের কতটুকু পড়ানো হয়েছে, তা সমস্তই লিখে রাখতে হবে বিশদে।

সাপ্তাহিক রাশিফল (26-31শে ডিসেম্বর, 2022) – বছরের শেষ সপ্তাহের ভাগ্যলেখা।

তারপরে এই ডায়েরিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দিয়ে সই করাতে হবে। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষককে এই ডায়েরি সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে হবে বোর্ডকে। এছাড়াও শিক্ষকদের ১০ঃ৩০ এর মধ্যে স্কুলে ঢুকতে হবে, ১১ঃ০৫ এর পরে ঢুকলে অনুপস্থিত হিসেবে গন্য হবে। শিক্ষকদের পালনীয় দিন গুলিতে বাধ্যতামূলক ভাবে আসতে হবে। স্কুলে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া প্রতিমাসে নিয়ম করে স্কুল পরিদর্শক ও মিড ডে মিল সেকশন থেকে বিদ্যালয় পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

31 ডিসেম্বরের আগে মাত্র 1 টাকা জিও রিচার্জেই পাবেন বিরাট সুবিধা।

নয়া নির্দেশ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, ‘বিস্তারিত এবং ধারাবাহিক ভাবে শিক্ষার মূল্যায়ণ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হতে চলেছে এই ডায়েরি।’ তাঁর ধারণা এই পদ্ধতিতে দুর্বল পড়ুয়াদের আরও বেশি করে খেয়াল রাখতে পারবেন শিক্ষকরা। বোর্ডের এই নির্দেশ কতটা কার্যকরী হয় এখন সেটাই দেখার।
Written by Antara Banerjee.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment