পশ্চিমবঙ্গের বহু প্রাথমিক শিক্ষকদের (West Bengal Primary Teacher Salary) বেতন ফেরতের নির্দেশ।
একদিকে প্রাথমিক শিক্ষকেরা বেতন বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন ষষ্ঠ বেতন কমিশন শুরু হবার পর থেকে। কারণ (West Bengal Primary Teacher Salary) রাজ্যের অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মত প্রাথমিক শিক্ষকেরাও বঞ্চিত হয়েছেন সিনিয়রিটি থেকে। হিসেব করলে দেখা যায় যে, নতুন পে কমিশন হবার পরে সিনিয়র টিচারদের যতোটা বেতন বৃদ্ধি হবার কথা ছিল তেমনটা হয়নি।
এখন আবার প্রাথমিক শিক্ষকের (West Bengal Primary Teacher Salary) বাড়ির লোকেরা পড়েছেন মহা সমস্যায়। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুরে। সমস্যায় পড়েছেন এক অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকের স্বামী। সম্প্রতি তার স্ত্রী মারা গিয়েছেন। এরপর সেই ব্যাক্তি সমস্যায় পড়েন ফ্যামিলি পেনশন তুলতে গিয়ে। একই ঘটনা ঘটে শিলিগুড়ির এক শিক্ষকের ক্ষেত্রে।
সমস্যার মূল বিষয়বস্তু হল ‘বাড়তি বেতন’। উক্ত প্রাথমিক শিক্ষকেরা (West Bengal Primary Teacher Salary) তাদের চাকুরি চলাকালীন মাসিক বেতনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বেতনের থেকে বাড়তি বেতন পেতেন। কি এর কারণ? দপ্তর সুত্রে জানা গেছে যে, ২০০৪ সালে বিধানসভায় বিল পাশ হয় শুধুমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরাই প্রাথমিকে চাকরীর সুযোগ পাবেন। তারপরে ২০০৬ সাল থেকে এক বছরের পিটিটি বা জুনিয়র বেসিক ট্রেনিং এর ব্যবস্থা হয়। সেই প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষকেরা ‘এ’ ক্যাটাগরি হিসেবে নিয়োগপত্র পেতেন।
আজ থেকে বদলে গেলো পশ্চিমবঙ্গে রেশন তোলার নিয়ম, এই কাজ না করলে রেশন পাবেন না,
এবারে সমস্যা হয় ২০১২-২০১৩ সালের একটি সংশোধনী এর পরে। নতুন নিয়মে এই কোর্সটি হয় ২ বছরের। সাথে বলা হয়, যারা ২০০৬ সাল বা তার পরে ১ বছরের কোর্স করেছেন, তাদের ৬ মাসের একটি ব্রিজ কোর্স করতে হবে। বলা হয় সেই কোর্স করলে তবেই তারা ‘এ’ ক্যাটাগরি হিসেবে বেতন পাবেন এবং সেটি লাঘু হবে সেই কোর্স শেষ হবার দিন থেকেই।
এখানেই আসল সমস্যার সূত্রপাত। ২০০৬-২০১৩ পর্যন্ত যারা কোর্সটি করেছিলেন তারা সকলেই নতুন নিয়মে ‘বি’ ক্যাটাগরি হয়ে গিয়েছিলেন ২০১২-১৩ সালের নতুন নিয়ম অনুসারে। কিন্তু তারা বেতন পেয়েছেন ‘এ’ ক্যাটাগরি শিক্ষক (West Bengal Primary Teacher Salary) হিসেবে।
তাদের ইনক্রিমেন্ট থেকে শুরু করে বেতন কমিশন- সমস্ত কিছুই হিসেব হয়েছে ‘এ’ ক্যাটাগরি হিসেবে। আর এই মধ্যেকার সময়ের ভুল হিসেবটাই ধরা হয়েছে ‘বাড়তি বেতন’ হিসেবে। হিসেব করে বলা হয়েছে যে এই ২০০৬-২০১৩ সাল অবধি বাড়তি বেতনের পরিমাণ প্রায় ২ লক্ষ টাকা!
উত্তরকন্যায় ডিরেক্টরেট অফ পেনশন প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং গ্রুপ ইন্সিওরেন্স অধিকর্তা সন্দীপ বসু বলেন, “সরকারি নির্দেশিকা মেনেই ঐ বাড়তি টাকার বিষয়টি সামনে এসেছে। সেই মতো তাদের বিষয়টি জানানো হচ্ছে। এতে দপ্তরের তরফেও কিছু করার নেই”। আধিকারিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই বাড়তি বেতন হিসেব নিয়ম মেনেই করা হয়েছে এবং তা ফেরত দিতেই হবে। তারা আরও খোঁজ নিয়ে দেখছেন যে আরও কত জন এমন শিক্ষক (West Bengal Primary Teacher Salary) আছেন।
রাজ্য সরকারী কর্মীদের খুসির খবর, অবশেষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলো অর্থদপ্তর
যদি আপনিও পেনশন পেয়ে থাকেন তাহলে বিষয়টি নজর দিন। কারণ, এই নিয়ে নির্দেশিকা জারিও হতে পারে ভবিষ্যতে। কারণ, এই বিষয়টি এনসিটিই এর নিয়মানুযায়ী নজরে এসেছে। এমন সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.
বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, অবশেষে জানা গেলো কবে মিলবে ডিএ?