পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে শেষ হয়েছে গরমের ছুটি তথা Summer Vacation. এছাড়া ভোট ও গরমের ছুটি কাটিয়ে সচল হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিস। আর এর মধ্যেই একাধিক ছুটি ঘোষণা (Holiday) হলো। আর তারসাথে যুক্ত হলো নতুন ছুটি। যদিও গরম না কমায় স্কুলে স্কুলে আবার নতুন করে গরমের ছুটি অথবা মর্নিং স্কুল শুরু হতে পারে। তবে সেই ছুটি বা Morning School নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত না হলেও ছুটির তালিকায় যুক্ত হলো একাধিক নতুন ছুটি। যার কারনে সব মিলিয়ে চলতি সপ্তাহে টানা ছুটি পড়তে চলেছে।
West Bengal Holiday List June 2024
যে কোন কাজের শেষেই দরকার একটু বিরতি। না হলে কাজ করার এনার্জি কি পাওয়া যায়? পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী হোক বা সরকারি বেসরকারি কর্মচারী, সকলের ক্ষেত্রেই চাহিদাটা একই। এই কারণে যখনই সপ্তাহের শেষে একটা দিন ছুটি মেলে অথবা কোন পুজো পার্বণবশত বেশ কয়েকটা দিন ছুটি থাকে, খুশির মেজাজে মেতে ওঠেন তারা। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের লোকের সঙ্গে নানা ধরনের আনন্দ মূলক প্ল্যান বানানো।
অনেকেই আবার এই সুযোগে ঘুরতেও পালান বাইরে। আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তবে ছুটি নিয়ে একটি বিরাট ঘোষণা রয়েছে আপনার জন্য। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে ছুটি নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটানা তিনটে দিন ছুটি মিলবে এই মাসেই। এই দিনগুলিতে বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজ্য সরকারি, কেন্দ্রীয় সরকারি, এমনকি বেসরকারি অফিস গুলিও। ফলে সকলেই কাটাতে পারবেন একটি লম্বা ছুটি। কিন্তু কবে সেই দিন? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভ্যাকেশন লিস্ট থেকে দেখে নেব।
নতুন ছুটি ঘোষণা
ভোটের কারণে প্রায় দেড় মাস ধরে বন্ধ ছিল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। তবে স্কুলগুলি যদিও গত ২২ এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ার জন্যেও বন্ধ রয়েছে পাশাপাশি। যাই হোক এই সুযোগে দীর্ঘ ছুটি কাটিয়েছে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা। অনেকেই আবার বাইরে ঘুরতেও চলে গিয়েছিল আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে। যার কারণে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র যেমন দার্জিলিং, দীঘা ইত্যাদিতে পর্যটকদের থিকথিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল কয়েকদিন ধরে। আগামী ১০ই জুন গরমের ছুটি কাটিয়ে গতকাল খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। ফলে ছুটির আনন্দ কাটিয়ে আবার পড়াশোনায় মন দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদেরকে।
শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয়, রাজ্যে সাত দফায় বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট চলাকালীন নির্দিষ্ট দিনগুলিতে বন্ধ ছিল সেখানকার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিও। বেসরকারি কর্মীরা এই সুযোগে খানিকটা ছুটি পেলেও সেই আনন্দ পাননি সরকারি কর্মচারীরা। কারণ তাদেরকে সেই সময়টায় ভোটের ডিউটি দিতে হয়েছে বিভিন্ন বুথে। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের রেজাল্ট বেরিয়ে গেছে। পুরোদমে পুনরায় খুলে গিয়েছে সমস্ত অফিস গুলি। আবার কাজে ফিরতে হয়েছে সকলকে।
এর মধ্যে সামনেই টানা তিনদিনের ছুটি ঘোষণায় খানিকটা আনন্দিত হয়েছে সেই সকল কর্মচারীদের মন।
কবে এই ছুটি? এখন চলছে জুন মাস। যদি ক্যালেন্ডারটা লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন আগামী ১৭ই জুন তারিখে রয়েছে মুসলিমদের পবিত্র উৎসব বকরি ঈদ। স্বাভাবিকভাবেই এই দিনটিতে লাল কালি অর্থাৎ জাতীয় ছুটি। যার কারণে বন্ধ দেশ জুড়ে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তর গুলিও। ফলে ছুটি কাটানোর সুযোগ সকলের কাছেই।
আরও পড়ুন, রিজার্ভ ব্যাংকের ঘোষণায়, কপাল খুলে গেল PNB ব্যাংকের গ্রাহকদের
এখন প্রশ্ন হল এটাই যে টানা তিন দিন ছুটি কিসের? তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি ১৭ই জুন ২০২৪ পড়েছে সোমবার। ঠিক তার আগের দিন অর্থাৎ ১৬ জুন রবিবার। যে দিনটিতে এমনিতেই ছুটি থাকে সমস্ত কিছু। আবার তার আগের দিন অর্থাৎ ১৫ ই জুন শনিবার, এদিনও সমস্ত কিছু ছুটি থাকার ঘোষণা হয়েছে। তাই সব মিলিয়ে মোট তিন দিন ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন দেশজুড়ে সমস্ত পড়ুয়া এবং চাকরিজীবীরা।
জামাই ষষ্ঠীর ছুটি
এদিকে আগামীকাল অর্থাৎ ১২ তারিখ জামাই ষষ্ঠী রয়েছে। আর সেই দিনের জন্য অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর যদিও স্কুলে স্কুলে গত কয়েক বছর পূর্ণ দিবস ছুটি ছিলো। গত বছর ২৫ই মে জামাই ষষ্ঠীর ছুটি ছিলো। যদিও সেটি গ্রীষ্মকালীন ছুটির মধ্যে পড়েছিলো। কিন্তু এবছর অর্ধদিবস ছুটি থাকছে।
অর্থাৎ ১২ তারিখ হাফ ছুটি (Half Day Holiday), ১৫ জুন শনিবার রাজ্য সরকারি দপ্তরে ছুটি। ১৬ই জুন রবিবার ও ১৭ই জুন বকরী ঈদের ছুটি। তাই শুক্রবার কেউ ছুটি নিলে টানা ছুটি ভোগ করতে পারবেন কর্মীরা।
আরও পড়ুন, সরকারি কর্মীদের সুখবর। বেতন পেতে দেরি হলে 6% সুদ পাবেন।
গরমের ছুটি বাড়তে পারে
বর্তমানে দেশ জুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। একাধিক রাজ্য আগামী ২০ই জুন পর্যন্ত স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে। পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা আগমনের সময় পিছিয়েছে, গতকাল জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এই পরিস্থিতিতে ফের বাড়তে পারে গরমের ছুটি। অথবা মর্নিং স্কুল হতে পারে। যদিও এই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আপডেট আসছে।
Written by Nabadip Saha.