চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী – এবার কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে হবে স্থায়িত্ব

স্বাস্থ্য পরিষেবায় কর্পোরেট ধাঁচা নিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। নতুন পরিকল্পনা অনুসারে এক বছরের কাজের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্মীর মূল্যায়ন করা হবে। একটি অর্থবর্ষ জুড়ে একজন কর্মীর কাজের মূল্যায়নের এই পরিকল্পনা অবশ্য জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য করা হয়েছে। সম্প্রতি সার্বিক মূল্যায়ন প্রণালী নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মূল্যায়নের উপরেই নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট কর্মীর চুক্তি নবীকরণ। গোটা রাজ্যে ব্লক থেকে পুরসভা, জেলা থেকে রাজ্য, সব স্তরের কর্মীদের এই মূল্যায়নের আওতায় আনা হয়েছে। পরিষেবার ক্ষেত্রে আমজনতাকে বাড়তি সুবিধা দেওয়াই সরকারের উদ্দেশ্য। নির্দেশিকা অনুসারে, স্টেট হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার থেকে স্টেট স্টোর ম্যানেজার, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ থেকে ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান পর্যন্ত সব কর্মীদেরই কাজের মূল্যায়ন করা হবে। কোনও কর্মী তাঁর নিজস্ব মূল্যায়ন রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে তা তিনটি স্তরে মূল্যায়ন করা হবে। প্রথমে রিপোর্টং অফিসার, তারপরে রিসিভিং অফিসার এবং সর্বশেষ মূল্যায়ন করবেন অ্যাকসেপ্টিং অফিসার। নির্দিষ্ট পদের ক্ষেত্রে আধিকারিকদেরও বদল করা হবে। চলতি অর্থবর্ষের মূল্যায়নের কাজ ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। গোটা মূল্যায়ন পর্বের জন্য যে মানদণ্ড তৈরি করা হয়েছে, তাতে নম্বর বিভাজন করে দেওয়া হয়েছে। মূলত, কর্মীর কাজের মূল্যায়ন হবে তাঁর দক্ষতা, অন্যদের সঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা, পরিষেবা দেওয়ার মানসিকতা, নিজের কাজের সম্পর্কে জ্ঞান, উপস্থিতি ও কাজ শেষ করার সময়সীমার মতো দক্ষতার উপরে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই তালিকায় রাখা হয়েছে অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে কাজের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্মীর মনোভাবকে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই একটি প্রশ্নেই মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি অভিনব হতে চলেছে।  জানা গিয়েছে, এক্সলেন্ট, ভেরিগুড এবং গুড, এই তিনটি গ্রেড পেলে নতুন করে আরও এক বছরের জন্য কর্মীদের স্বাভাবিকভাবে পুনর্নিয়োগ হবে। অ্যাভারেজ গ্রেড হলে, ছ’মাসের জন্য পুনর্বহাল করা হবে। আর পুওর গ্রেড পেলে, সতর্ক করে দিয়ে তিনমাসের জন্য নজরদারিতে রাখা হবে। শেষ দু’টি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মীর কাজের উপর নির্ভর করবে তাঁর পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment