গত ২২ এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল করা হয় ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ তথা WBSSC Recruitment Panel. আর এই পরীক্ষা শুরু থেকে নিয়োগ, প্রত্যেক ধাপেই বিতর্কের পর বিতর্ক সৃষ্টি হয়। আর দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের (WBSSC Recruitment Supreme Court Case status) হয়। যার জেরে চাকরি হারিয়েছেন 26000 শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে গ্রুপ ডি কর্মী। তবে তালিকায় এমন অনেক অভিযুক্তরাও রয়েছেন যারা আদৌ দোষী নন। নিজের যোগ্যতার বলেই চাকরি পেয়েছেন তারা। আর সেইসমস্ত প্রার্থীদের তালিকা ও অভিযুক্তদের তালিকা বার বার চাওয়ার পরও কার্যত আদালতের হাতে আসেনি। যার জেরে পুরো প্যানেল বাতিলের রায় দেওয়া হয়। আর এবার সুপ্রিম কোর্টে সেই তালিকা জমা পরার খবর পাওয়া গেছে।
WBSSC Recruitment Supreme Court Case status.
এই মামলার প্রথম থেকেই মালাকারীদের আবেদন ছিল যারা অযোগ্য তাদেরকে সরিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হোক, এবং যারা যোগ্য তাদেরকে পুনরায় চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এবার তাদের আশা মতোই শুনানি ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট (WBSSC Recruitment). যাতে বুকে বল পেলেন মামলাকারীরা। কি জানালো শীর্ষ আদালত? অবশেষে কি ন্যায় বিচার পাচ্ছেন যোগ্য কর্মরতরা? গত সোমবার এই মামলাটি উঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচার কক্ষে। তারপরই ঘোষণা হয় শুনানি।
SSC বাতিল হওয়া নিয়োগ তালিকা (WBSSC Recruitment) থেকে যোগ্য এবং অযোগ্য কর্মীদের আলাদা করা হবে এই কথা জানিয়ে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। যারা প্রকৃতই যোগ্যতার সঙ্গে চাকরি পেয়েছেন তাদের আলাদা তালিকা এবং যারা অপরাধী তাদের আলাদা তালিকা প্রস্তুত করবে এবার আদালত। তার ভিত্তিতেই আগামী দিনে পুনরায় চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে যোগ্য প্রার্থীদের।
কিন্তু কিভাবে এই প্রক্রিয়া করা হবে?
সে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে আদালতের কাছে। সেই উত্তরে এই কথা জানালো শীর্ষ আদালত। কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই অভিযুক্তদের ওএমআর শিটের তথ্য খুঁজে বের করছে (WBSSC Recruitment). OMR এর স্ক্যান কপি গুলি পাওয়া গেলে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। স্ক্যানড কপি না পাওয়া গেলে আনসার স্ট্রিং ব্যবস্থা গ্রহণ করে OMR বিচার করতে হবে।
এরপর অভিযুক্তদের ডাকতে হবে ওএমআর তথ্য মিলিয়ে দেখার জন্য। প্রার্থীদের একাডেমিক স্কোরের প্রমাণপত্র যেমন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট সার্টিফিকেট ইত্যাদির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে ওএমআর সিট। এরপর ইন্টারভিউ এবং পার্সোনালিটি টেস্টে যে নম্বর দেয়া হয়েছে সেটিও পুনরায় যাচাই করতে হবে। আর তারপরেই যাদের নম্বর দেখা যাবে সঠিক আছে তাদেরকে যোগ্য আর যাদের নেই তাদেরকে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকায় (WBSSC Recruitment) ফেলতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।
যে সমস্ত প্রার্থীরা যোগ্যদের তালিকায় থাকবেন তাদেরকে খুব শীঘ্রই ফিরিয়ে দেওয়া হবে নিজেদের চাকরি, জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ স্বস্তি দিয়েছে মামলা কারীদের মনে। তবে এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা যদি শীর্ষ আদালত স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) মাধ্যমে তাদের হাতে যোগ্যদের তালিকা না তুলে দিতে পারে তবে আবার আন্দোলনে নামবেন তারা।
আগামী সোমবার আবার এই WBSSC Recruitment মামলার শুনানির দিন ঘোষণা করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই খবর প্রকাশ হওয়ার পরে অনেকেই খুশি হয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে আগামীদিনে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সকল যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের বাছাই করার মাধ্যমে যোগ্যদের চাকরি ফিরিয়ে দিলে সত্যিই ন্যায় বিচার হবে। এবারে আগামী সোমবারের জন্য সকলকে অপেক্ষা করতে হবে এই সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়ার জন্য।Written by Nabadip Saha.