School Service Commmission বা WBSSC এর মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও বড় আপডেট পেলেন টেট পাশ চাকরি প্রার্থীরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চলা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার চূড়ান্ত রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court). যার জেরে মোট ২৪০০০ জনের চাকরি যাবার আশঙ্কা রয়েছে। জানা গেছে, কেবল শিক্ষকরাই নন, বেশ কিছু গ্রুপ সি ও ডি লেভেলের অশিক্ষক কর্মীদেরও নাম জড়িয়েছে এই দুর্নীতি কাণ্ডে।
WBSSC Recruitment Ultimate Verdict In Calcutta High Court.
হাইকোর্টের রায়ে যদি একবার নিয়োগে বেনিয়মের স্বপক্ষে প্রমাণ মেলে, তাহলেই চাকরি থেকে বরখাস্তের নোটিশ পাবেন অভিযুক্তরা। এই মামলার সূত্রপাত আজ ঘটে নি। ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় (WBSSC Exam) যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাদেরই অনেকে দায়ের করেন এই মামলা। যে অভিযোগ আদালত পেয়েছে তা হল এই বছরের কিছু পরীক্ষার্থী নাকি ফাঁকা WBSSC OMR Sheet জমা দিয়েছিলেন পরীক্ষার (WBSSC Case) হলে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও বর্তমানে তারা চাকরি করে চলেছেন। নবম থেকে দশম এবং একাদশ থেকে দ্বাদশ স্তরের মোট ২৩৫৪৯ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। সঙ্গে আছে বেশ কিছু গ্রুপ সি ও ডি বিভাগের কর্মীরাও। অপরদিকে সৎ পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নের সঠিকভাবে উত্তর দিয়েও বঞ্চিত হয়েছেন সেই সুযোগ থেকে। এটা দুর্নীতি (WBSSC Scam) ছাড়া আর কি হতে পারে?
তাই এই মামলার বিচার শুরু করে উচ্চ আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। তখন তারা শুনানি জানিয়েছিলেন এই মামলার। প্রমাণ মিলে দুর্নীতির পক্ষেই। এরপর সেখান থেকে কেসটি যায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Of India). যদিও গত ২০২৩ সালের নভেম্বরে শিক্ষক নিয়োগের (WBSSC Recruitment) সমস্ত কেস সুপ্রিম কোর্ট ফিরিয়ে দেওয়ায় এই কেসটি আবার হাইকোর্টেই চলে আসে।
পরবর্তীকালে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং মোহাম্মদ সব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে পুনরায় বিচার হয় এই মামলা নিয়ে। তাদের তরফেও নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (WBSSC Scam Case) নাম জড়িয়ে থাকা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শুনানি দেওয়া হয় এবং তাদেরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কোর্টের এই নির্দেশ পাওয়ার পরই শুরু হয় বিতর্ক।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাদের অনেকে মন্তব্য করেন, আমাদের সঠিকভাবে সুযোগ না দিয়ে আগেই কেন চাকরি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে? এটিকে মোটেই নৈতিকতা বলে না। অভিযুক্তদের সেই মন্তব্য শুনে আদালতকে তার বিচার স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় উপরমহল। সেই অনুযায়ী হাইকোর্ট ঘোষণা করে ২০২৪ এর এপ্রিল মাসে এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে।
ততদিন পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন এই সকল অভিযুক্তরা। কিন্তু একবার রায় ঘোষণা হলে যদি তা তাদের বিরুদ্ধে যায়, অবিলম্বে চাকরি ছাড়ার নোটিশ পাবেন তারা। চলছে এপ্রিল মাস। এপ্রিলের শেষের দিক থেকেই শুরু হচ্ছে লোকসভা ভোট। আর তার আগে আদালতে নির্দেশে ভাগ্য ফিরতে চলেছে বহু চাকরি প্রার্থীর। আগামীকাল সোমবার উল্লেখিত WBSSC মামলার রায় ঘোষিত হবে আদালত কক্ষে।
পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ শুরু হচ্ছে। কি কি সুবিধা বাড়ছে?
আর এই মুহূর্তে আশঙ্কায় রয়েছেন দুই তরফের প্রার্থীরাই। মামলাকারীদের চিন্তার বিষয় যদি রায় তাদের স্বপক্ষে যায় তাহলে শাস্তি পাবে দোষীরা। আর অভিযুক্তদের ভয় যদি রায় তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়, তাহলে চাকরি হারিয়ে পথে বসতে হবে তাদেরকে। এখন দেখা যাক আগামীকাল কি বিচার আসে আদালতে। WBSSC মামলায় ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে সেই দিকে নজর সকলের।
Written by Nabadip Saha.
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েতে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ। বেতন ও আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন।