পুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই শিক্ষক নিয়োগ (WB Teacher Recruitment) শুরু হবে, আর গত মাসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন আগামী দুই মাসের মধ্যে ১৫০০০ শিক্ষক নিয়োগ হবে। কিন্তু বছর শেষ হতে চললো। কবে হবে নিয়োগ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি নিয়োগ নিয়ে তৎপরতা দেখা গেলেও রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ ক্রমেই অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। আর এদিন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) মাধ্যমে নতুন শিক্ষক নিয়োগের (WB Teacher Recruitment) বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। উচ্চ প্রাথমিকের (Upper Primary) নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘ আট বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। এদিকে পরীক্ষা দিয়ে ও ফল মিলছে না ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের (Primary TET 2017)। আর সরকারী পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার শিক্ষক পদ খালি। যার ফলে হতাশা এবং ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে, আর ফলশ্রুতিতে আন্দোলন, অনশনের আশ্রয় নিচ্ছেন।
গতকাল উত্তর দিনাজপুরে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক থেকে, শিক্ষক নিয়োগ (WB Teacher Recruitment) না হওয়ার কারন কার্যত আদালতের উপরেই চাপিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তার বক্তব্য, অর্ধেক শিক্ষক নিয়োগ তো কোর্টেই আটকে।
গতকাল উত্তর দিনাজপুরের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সংগঠিত প্রশাসনিক বৈঠকে, এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের মেন্টর আলেমন উরি মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) জানান, উত্তর দিনাজপুরে পাঞ্জিপাড়া এলাকায় একটি মডেল মাদ্রাসা স্কুল গড়ে তোলা হয়েছে৷ কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই৷ মাত্র ৩ জন শিক্ষক স্কুলের সমস্ত কাজ চালাচ্ছেন৷ শিক্ষকের অভাবে ভালো ভাবে পড়াশোনা হচ্ছে না৷ উক্ত স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষকের ব্যবস্থা করা হোক৷
জেলা পরিষদের মেন্টরের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, এভাবে শিক্ষক নিয়োগ হয় না৷ অর্ধেক নিয়োগ তো আদালতেই আটকে থাকে৷ যদিও এর পরেই অবশ্য তিনি বলেন, রাজ্য শিক্ষা দফতর এই বিষয়টি দেখবে৷ কোনও জায়গায় ৫০ জন, কোনও জায়গায় এক জন৷ বলতে গেলেই ঝগড়া হয়৷ ধীরে ধীরে এই বিষয়গুলি ঠিক করতে হবে৷
আরও পড়ুন, নতুন বছরের শুরুতেই হবে শিক্ষক নিয়োগ আজ জানালেন মন্ত্রী
আসলে বাস্তবিক রূপে দেখতে গেলে, প্রচুর নিয়োগ আটকে আছে আইনী জটিলতায়। একাধিক শিক্ষক নিয়োগ (WB Teacher Recruitment) নিয়ে চলছে মামলা। আর মামলা তো এমনি এমনি হয়না। বার বার অভিজোগের তীর উঠছে কমিশনের উপর। দুর্নীতির প্রমান বার বার আদালতে তুলে ধরা হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে ভুগতে হচ্ছে চাকরী প্রার্থীদের এবং সেইসাথে শিক্ষক শূন্যতায় ভুগছে স্কুল ও পড়ুয়ারা।