অতিমারী ভীতি কাটিয়ে গত মঙ্গলবার থেকেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল শুরু হয়েছে রাজ্যে (WB School Timing)। এই তিনদিনের ক্লাসের রিপোর্ট নিয়ে গতকাল একটি পর্যালোচনা বৈঠক করে স্কুল শিক্ষা দফতর। এই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেক জেলার একজন করে প্রধান শিক্ষক সহ প্রত্যেকটি জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। এবং গতকালের রিপোর্ট জানাতে আজ ও একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় বৈঠক হয়।
ব্রেকিং নিউজ পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি, দাবী মেনেই কমে গেল স্কুলের সময়, একদিন পর একদিন ক্লাস
গতকালের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকা প্রধান শিক্ষকদের বেশিরভাগই স্কুলের সময়সীমা কমানোর (WB School Timing) উপর জোর দেন। সবচেয়ে বড় যে কারণটি দেখানো হয়েছিল দীর্ঘক্ষণ ধরে মাস্ক পড়ে থাকা কার্যত অসহ্য হয়ে উঠছে পড়ুয়াদের। তাদের কোনও ক্রমেই আটকে রাখা যাচ্ছে না। এরপর কিছু হয়ে গেলে তার দায় নেবে কে? পাশাপাশি বর্তমানে যে সময় মেনে ক্লাস হচ্ছে তারও রদবদলের কথা উঠে বলেই সূত্রের খবর। আগে যে নিয়ম মেনে সময় ক্লাস নেওয়া হতো সেই সময় মেনেই ক্লাস নেওয়ার কথাও এ দিনের বৈঠকে কোন কোন প্রধান শিক্ষক প্রসঙ্গ তোলেন।
এছাড়াও ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক প্রধান শিক্ষক স্কুল ছুটির সময় সীমা (WB School Timing) সাড়ে চারটের বদলে আরো এগোনোর কথা বলেন। মূলত স্কুলগুলির হাতেই কখন ক্লাস শুরু হবে বা কখন ক্লাস শেষ হবে তা ছেড়ে দেওয়ার কথা ও এই দিনের বৈঠকে ওঠে বলেই সূত্রের খবর। বর্তমানে নবম ও একাদশ শ্রেণির জন্য একটি সময় এবং দশম দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ক্লাসের জন্য। এ দিনের বৈঠকে বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষকই আগের সময়সীমা চালু করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে রোটেসন বেসিস ক্লাস চালুর কথা একাধিক প্রধান শিক্ষক এ দিনের বৈঠকে প্রস্তাব রাখেন। অর্থাৎ যেদিন নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে তারপরের দিন দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস নেওয়ার কথা বলা হয় প্রধান শিক্ষকদের তরফে।
রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এই দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার এবং সর্বশিক্ষা মিশনের অধিকর্তা। যদিও তারা এই পর্যালোচনা বৈঠকে সবার মতামত নিলেও এই মতামত নেওয়ার পর আগামী সপ্তাহেই রাজ্য তার সিদ্ধান্ত জানাতে পারে বলেই উক্ত মিটিঙ্গে জানানো হয়।
আরও পড়ুন, আগামীকাল থেকে স্কুলে মানতেই হবে এইসব নিয়ম
অন্যদিকে এই দিনের বৈঠকে স্কুল এর সময়সীমা কমানোর পাশাপাশি উপস্থিতির হার একাধিক স্কুলে কমতে শুরু করেছে বলেও একাধিক প্রধান শিক্ষক দাবি করেন। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের একাংশ ক্লাসে আসতে চাইছে না। এই দিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয় একাধিক জেলার প্রধান শিক্ষকদের তরফে।
আরও পড়ুন, স্কুল খুলতেই নয়া সমস্যার উদয় হলো, বিপাকে কয়েক হাজার ছাত্র শিক্ষক
এদিকে আজ সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও, এই বিষয় নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে বলে সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবং আগামী সপ্তাহে শিক্ষাদপ্তর এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট নিয়ে ও সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে আনফিসিয়ালি জানা যাচ্ছে, এক থেকে দেড় ঘণ্টা কমতে চলেছে স্কুলের সময়সীমা। অর্থাৎ পূর্বের রুটিনেই ক্লাস হওয়ার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এদিকে শনিবার পূর্ণ দিবস ক্লাস করার অর্ডার দিলেও অনেক স্কুলই আগের রুটিনেই ক্লাস করেছে বলে জানা যাচ্ছে।