রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) জন্য এবারে এক জরুরি পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal). এখন থেকে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের শুধুমাত্র শহর নয় গ্রামেও শিক্ষকতা করা বাধ্যতামূলক করা হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতিটি শিক্ষক বা শিক্ষিকার জীবনের প্রধান ধর্ম হল ছাত্র-ছাত্রীদের সুশিক্ষা দেওয়া। আর শিক্ষাকতা করার জন্য গ্রামাঞ্চল এবং শহরাঞ্চল বেছে নেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
West Bengal School Teacher News.
কিন্তু এমনই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটলো, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) কাউন্সিলিং এ আসা ২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে। তবে এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে স্কুল শিক্ষা দপ্তর (WB Education Department). বর্তমান সময়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের (School Teacher) জন্য কাউন্সিলিং চলছে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এই কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া চলবে বলে আগেই বার্তা দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
তবে এইবার এক অন্য ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা গেল পরীক্ষায় পাশ করা ২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে। ওই ২৫ জন প্রার্থী টেট পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করে প্যানেলে নাম বেরোনোর পর কাউন্সিলিং প্রক্রিয়ায় হাজির হয়েছিলেন। কাউন্সিলিং প্রক্রিয়ায় এসে তারা জানতে পারেন তাদের শিক্ষকতা (School Teacher) করার জন্য যে স্কুল গুলি ঠিক করা হয়েছে সেগুলি শহরাঞ্চলের নয়। স্কুল গুলি রয়েছে, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে।
গ্রামাঞ্চলে স্কুল হওয়ার জন্য তারা চাকরি করতে অনিহা প্রকাশ করে। এই বিষয়টি সার্ভিস কমিশনের কাছে যাওয়ার পর থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এবার গ্রাম অঞ্চলের শিক্ষকতা করার জন্য নাক সিঁটকানে আর হবে না। গ্রামে শিক্ষকতা (School Teacher) করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু যা জানালেন তা হল, ‘গ্রামে শিক্ষকতা আমরা বাধ্যতামূলক করব।
আমরা এটা কার্যকর করব। এটা ঠিক নয় গ্রামে হবু শিক্ষকরা শিক্ষকতা করাতে যেতে চাইছেন না। আমরা শহর ও গ্রামের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে চাই। দফতর দেখছে গোটা বিষয়টি। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের (School Teacher Recruitment) কাউন্সিলিং হয়েছে মোট ৮ দিন হল। এই কদিনের মধ্যে ২৫ জন প্রার্থী চাকরি পেয়েও গ্রামের দিকে স্কুল হওয়ায় তারা চাকরি করতে রাজি হননি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে থেকে খবর পাওয়া গেছে পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের মতো জেলা গুলির প্রান্তিক অঞ্চলের স্কুল গুলিতে তারা চাকরি পেয়েছিল।
তারা শহরাঞ্চলের স্কুল গুলিতে চাকরি করতে চাইছেন। সেই কারণে চাকরি কি তারা গ্রহণ করেনি এই খবরটি স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে যাওয়ার পরে আলোচনা সঞ্চার হয়। এই প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন “এটা ঠিক যে স্কুল গুলির কথা বলা হচ্ছে, সেই স্কুল গুলি শহরাঞ্চলে নয় তার থেকে অনেকটাই দূরে। তবে কাউন্সিলিংয়ে এসেও School Teacher বা শিক্ষকতার পদে চাকরি নিচ্ছেন না এর পিছনে কয়েকটি কারণও রয়েছে।
সিলেবাস কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেছেন “এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। গ্রামে গিয়ে শিক্ষকতা (School Teacher) করানো অবশ্যই প্রয়োজন।” এই প্রসঙ্গে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে গ্রামের দিকে যদি শিক্ষকতা করতে প্রার্থীরা রাজি না হন সে ক্ষেত্রে কি গ্রাম অঞ্চলের স্কুল গুলি শিক্ষকহীন হয়ে রয়ে যাবে? এবার দেখার বিষয় যে এই ঘটনার পরে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজ্য সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর।
এদিকে সমস্ত শিক্ষকদের ডাইস এর কাজ চলছে। আর এবারের এই ডেটাবেজ নিয়ে নতুন বছর থেকে চাকরি সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা প্রকাশ হতে হতে চলেছে। যেখানে উল্লেখ থাকতে পারে শিক্ষকদের স্কুলে ঢোকা ও বেরনোর সময়। এছাড়া একাধিক আচরণবিধির কথা উল্লেখ থাকবে। তবে শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত যে জটিলতা বা বেতন বৃদ্ধির দাবিদাওয়া রয়েছে, এই বিষয়ে সরকার কোন কর্ণপাত করছে না বলে দাবী করেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির স্বপন মন্ডল।
Written By Nupur Chattopadhyay.
WBPPE TET 2023 Vacancy : প্রাইমারী টেট প্রার্থীদের সুখবর। অবশেষে বাড়ল শূন্যপদ।