কুড়ি মাস পর স্কুল খোলার পর একাধিক বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না। আর এবার সিলেবাস (WB School Syllabus) নিয়ে নতুন সমস্যা দেখা দিল পড়ুয়াদের মধ্যে। যার দরুন কার্যত বিপাকে পড়েছে বহু পড়ুয়া।
গত সোমবার থেকেই সামাজিক দূরত্ব সহ একাধিক কারনে নবম থেকে দ্বাদশ, চার শ্রেণির ক্লাসের জন্য দিন ভাগাভাগি করে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু সেই ব্যবস্থার সুফল নিয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন উঠছে এক দিনের মধ্যেই। সব মিলিয়ে দেড় বছরেরও বেশি সময় পরে স্কুলের চারটি ক্লাস চালু হলেও সোমবার মালুম হল, কোথায় যেন তাল কেটে গিয়েছে। WB School Syllabus
অনেকের প্রশ্ন, দশম ও দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষা সামনেই। দিন ভাগের ফলে ওই দুই শ্রেণির পড়ুয়ারা সপ্তাহে মাত্র তিন দিন স্কুল করার সুযোগ পেলে তাদের পাঠ্যক্রম শেষ হবে কি? প্রশ্ন উঠছে, দিন বিভাজন করে ক্লাস হলে পড়ুয়াদের হাজিরা আরও কমে যাবে না তো? শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্কুলের সময় বদল, চার শ্রেণির দিন ভাগ করে পর্ষদ রবিবার সন্ধ্যায় যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তার কথা অনেকে জানতে না পেরে নবম থেকে দ্বাদশের সব ছাত্রছাত্রী এ দিন স্কুলে পৌঁছে যায়। তাদের কেউ কেউ বাড়ি ফিরে গিয়েছে, অনেকে ক্লাস করেছে। WB School Syllabus
অন্যদিকে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে Activity Task দেওয়া হয়েছে, এবং সেই প্রশ্নই এবারে প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের নির্ণায়ক হবে। তবে নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা আলাদা করে নেওয়ার ঘোষণা করেছে একাধিক স্কুল। তবে সেখানেও উঠেছে প্রশ্ন, মাত্র এক সপ্তাহ ক্লাস হলো, আর তারপর নবম শ্রেণী সপ্তাহে মাত্র দুদিন ক্লাস করবে, সারা বছর ক্লাস হয়নি, অনলাইনে নামে মাত্র যা হয়েছে। সেটাও করার পরিকাঠামো নেই অধিকাংশ পরুয়ার। তবুও কি করে বার্ষিক পরীক্ষা দেবে পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সাজেশন ডাউনলোড করুন ফ্রিতে
পড়ুয়াদের একাংশের মত, যাদের দামী ফোন কেনার সামর্থ্য আছে তাদের আলাদা টিউশনিও আছে, কিন্তু আর্থিক ভাবে অসচ্ছল পড়ুয়ারা কি করবে? তাই এই কম সময়ে ক্লাস নিয়ে সিলেবাস শেষ না করে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ায় ও আপত্তি তুলছেন পড়ুয়া ও অভিভাবকদের একাংশ। অন্যদিকে পাঠ্যক্রম শেষ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষকেরাও।
তাহলে পাঠ্যক্রম শেষ না করে পড়ুয়াদের বোর্ড পরিক্ষার দিকে ঠেলে দেওয়া মানে কার্যত তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলে খেলা নয় তো? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। কারন তাদের এই মার্কস সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। আর তাছাড়া অন্যান্য বোর্ডে ভুরি ভুরি মার্কস পাওয়ার নিদর্শন রয়েছে, যেখানে একই মেধার বাংলা বোর্ডের পড়ুয়ারা সেই অনুযায়ী কম মার্কস পায়, আসলে ১০ এর মধ্যে সাড়ে ৯ এর বেশি দেওয়া যাবে না, সেই রীতি চলে আসছে বহুদিন ধরেই।আপনাদের মন্তব্য নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।