WB School – আবার স্কুল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা, চিন্তা ভাবনা শুরু নবান্নের

দীর্ঘ কুড়িমাস বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি খুলেছে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় (WB School). তবে এখনো পুরোপুরি ক্লাস শুরু করতে পারেনি রাজ্য। তারপরও কার্যত করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে গোটা দেশ।

তবে, ইতিমধ্যেই চোখ রাঙ্গাতে আরম্ভ করেছে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। সম্প্রতি, বেঙ্গালুরুতে দুই ব্যক্তির মধ্যে এই নতুন Omicron স্ট্রেনটির উপস্থিতি ধরা পড়েছে। নতুন স্ট্রেনটি ধরা পড়ার ফলে ফের একবার জোরালো হয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা। যার জন্য নতুন করে ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। WB School

আর, এদিকে Omicron এর আশঙ্কা মাথাচাড়া দিতেই স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার বেশ কিছুটা কমবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটির ফলে স্কুল-কলেজে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ১৪ শতাংশ কমতেও পারে বলে উঠে এসেছে এক সমীক্ষায়। WB School

সম্প্রতি এইসময় এবং টাইমস গ্রূপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, LocalCircles নামক একটি অনলাইন সংস্থার করা সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সারা দেশের ৩০৮টি জেলার ১৫,০০০-এর উপর অভিভাবকদের বক্তব্য সংগ্রহ করা হয়েছে এই সমীক্ষায়। এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতির আগমনের ফলে মানুষের মধ্যে যেই ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে, সেই ভয় থেকেই নিজেদের সন্তানদের স্কুলে ( WB School) পাঠাতে রাজি হবেন না বহু অভিভাবক।

গত নভেম্বর মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকায় ধরা পড়ে এই নতুন ভাইরাসটি। ইতিমধ্যেই, নতুন এই ভাইরাসটিকে ‘varient of concern’ আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে নতুন করে ফের একবার বিধিনিষেধ জারি করছে বহু দেশ। WB School

ইতিমধ্যেই, প্রায় ২৫টি দেশে পাওয়া গেছে এই Omicron ভাইরাস। এর আগের ডেল্টা ভ্যারিইয়েন্টের তুলনায়, এই ভাইরাসটি দ্রুত ছড়ায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও, দক্ষিণ আফ্রিকা, যেখানে এই ভাইরাসের উপস্থিতি প্রথম লক্ষ্য করা যায়,সেখানেও, ২৫ বছরের নীচে বয়স, এমন ব্যক্তিদের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করা গেছে বলে বলা হয়েছে এই সমীক্ষায়। এছাড়াও, সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে এই সপ্তাহ পর্যন্ত ৫৮ শতাংশ বাবা-মা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন। আগামী সপ্তাহ থেকেই অন্তত ১৪ শতাংশ বাবা-মা, এই Omicron ভ্যারিইয়েন্টের ভয়ে তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই সমীক্ষায়। WB School

এই সমীক্ষাটি যখন করা হয়, তখন দেশের একটিও Omicron-এর কেস ধরা পড়েনি। প্রথম কেস ধরা পড়ার পর, আরও ৫ শতাংশ অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেবেন বলে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই সমীক্ষায়। তখন শুধুমাত্র ৩৪ শতাংশ অভিভাবকই তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে রাজি থাকবেন বলে জানানো হয়েছে এই সমীক্ষায়।

অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট জেলায় এই ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ার পর, আরও ১০ শতাংশ অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেবেন। যদিও, ততদিনে সরকার ফের একবার ফিজিক্যাল ক্লাস বন্ধ করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে বলেই বলা হয়েছে এই সমীক্ষায়। উক্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে। পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট প্রথমে ঐচ্ছিক হলেও পরে তা বাধ্যতামূলক করা হয়। যদি পরিস্থিতি খারাপ হওই, ততবে যেসৎ পরীক্ষার নম্বরই হবে রেজাল্টের মাপকাঠি। আর নয়া ভ্যারিয়েন্ট আসায়, নতুন বছর শুরুর আগেই ফের আরেকবার স্কুল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলো।

মাধ্যামিক সাজেশন পেতে ক্লিক করুন

প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই জরুরিভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের বদলে নভেম্বর ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে পহেলা জানুয়ারি থেকে পূর্ণাঙ্গ ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, ওমিক্রন আসায় সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment