রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট (WB Primary Teacher Recruitment)। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক আন্দোলন, বিতর্ক ও মামলার মধ্যে একটি আপডেট আজ পাওয়া গেলো। আজ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি ছিল। জনস্বার্থ মামলা হিসেবেই এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হয়। স্বদেশ দাস নামে এক প্রার্থী এই মামলা করেছিলেন। ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বেনিয়ম হয়েছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ নিয়োগ তালিকা চেয়ে পাঠায় কলকাতা হাই কোর্ট। যেখানে ৪২ হাজারেরও বেশি চাকরি প্রার্থীর নথি আদালতে জমা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, আজ মামলা শুনানিতে উঠলে আদালত জানতে চায় সমস্ত নথি মিলিয়ে দেখা হয়েছে কিনা। পিটিশনার পক্ষের আইনজীবী জানান, এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর নথি এত দ্রুত দেখা সম্ভব নয়। আদালত জানায়, যে ১২ জন প্রার্থীর নিয়ে অভিযোগ উঠছে সেগুলো ভালো করে যাচাই করতে। এই ১২ জনের চাকরিতে ( (WB Primary Teacher Recruitment) দুর্নীতির প্রমান থাকলে আদালত পরবর্তী সিধান্ত নেবে। এরপর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ধার্য্য করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয় এক প্রার্থীকে। সমস্ত নথি যাচাই করেই তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে দাবি স্বদেশ দাস নামে ওই প্রার্থীর। সেই মতো চাকরিও করেন তিনি। কিন্তু কিছু দিন পরে ফের তাঁর নথি চেয়ে পাঠায় জেলা প্রাথমিক পরিদর্শক। তাঁর যোগ্যতা সংক্রান্ত নথির কোনও কিছুরই প্রমাণ দিতে পারেননি মামলাকারী স্বদেশ। চাকরি থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে এই আশঙ্কায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। ওই সংক্রান্ত মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে ওঠে। নিয়োগে অস্বচ্ছতা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কাঠগড়ায় তোলেন বিচারপতি। কী ভাবে ওই নিয়োগ করা হয়েছে, প্রশ্ন তোলে আদালত। পর্ষদ ওই প্রার্থীকেই দোষী সাব্যস্ত করতে চায়। এর পর উঠে আসে চমকপ্রদ তথ্য। (WB Primary Teacher Recruitment)।
ওই প্রার্থী জানান, তিনি শুধু একা নন, পর্যাপ্ত নথি ছাড়া চাকরি করছেন এ রকম ১২ জন। নথি যাচাই না করেই ওঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার শুনানির সময় বিষয়টি জানতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। তার পরেই এই মামলা থেকে নিজের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। নজিরবিহীন ভাবে বিচারপতি ওই মামলাটিকে জনস্বার্থ মামলায় রূপান্তরিত করার নির্দেশ দেন। এরপর কি হবে, সেই দিকেই নজর থাকবে কয়েক লাখ প্রার্থীর।
Breaking News, প্রাথমিক শিক্ষক হতে হলে এই নিয়ম মানতে হবে