রাজ্যের মহিলাদের স্বাবলম্বী করতে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এক গুচ্ছ প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে নজর কেড়েছে Lakhir Bhandar তথা লক্ষ্মীর ভান্ডার ও কন্যাশ্রী। এই দুটি প্রকল্পেরই মূল লক্ষ্য, রাজ্যের মা বোনেদের সরাসরি আর্থিক সহযোগিতা করা। আর এবার Lakhir Bhandar প্রকল্পের আরও সম্প্রসারন ঘটানো হলো, আগামী বাজেটে। এবার থেকে আরও বেসিসুবিধা পাওয়া যাবে Lakhir Bhandar প্রকল্পের মাধ্যমে।
West Bengal Lakhir Bhandar Scheme:
যুগান্তকারী পদক্ষেপ, লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বাজেটে নতুন ঘোষণা সরকারের, জেনে নিন।
রাজ্য বাজেট (State Budget) পেশ করেছে তৃণমূল সরকার। বিধানসভায় বাজেট পেশ করেছেন অর্থ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর বাজেট পেশের সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যবাসী জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে সমস্ত সামাজিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প রচনা করে বাস্তবায়িত করেছেন, সেই প্রকল্পগুলো সব একইভাবে নিয়ম অনুযায়ী চলবে, নাকি কোনো প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে, কোনো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বরাদ্দ কি কমে যেতে পারে, আবার রাজ্য সরকার কি নতুন কোনো প্রকল্প ঘোষণা করতে পারে?
এই প্রশ্নগুলো রাজ্যবাসীর মনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে। এই প্রশ্নগুলোর একটাই উত্তর হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সমস্ত সামাজিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প একইভাবে চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। যে সমস্ত কল্যাণমূলক প্রকল্পের ফলে রাজ্যবাসী উপকৃত হচ্ছেন, সেই সমস্ত প্রকল্প তো চলবেই, পাশাপাশি সরকারের দ্বারা চালু প্রকল্পের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপও নিতে দেখা গিয়েছে।
মহিলাদের জন্য তৃণমূল সরকার প্রচুর প্রকল্প রচনা (Social Development Project and Scheme) করেছেন। যার ফলে রাজ্যের মহিলারা যথেষ্ট উপকৃত হচ্ছেন।
ছাত্রীদের জন্য কন্যাশ্রী, কন্যাদের জন্য রূপশ্রী, চিকিৎসা পরিষেবার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে পরিবারের সকলেই চিকিৎসা পাবেন, অথচ সেই কার্ড ইস্যু করা হবে পরিবারের একজন মহিলার নামে। শুধু তাই নয়, প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণে ভাতা দেওয়া হচ্ছে লক্ষীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar, Lakhir Bhandar) এর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে।
বাংলার ১ কোটি ৮৮ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সাধারণ বা জেনারেল কাস্টের মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পান এবং তফসিলি জাতি, উপজাতি মহিলারা ১০০০ টাকা করে প্রতি মাসে আর্থিক সহায়তা পান। এবার এই লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে।
Lakhir Bhandar নিয়ে কি সেই ঘোষণা?
রাজ্যের যত মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারে নিয়মিত প্রতি মাসে টাকা পাচ্ছেন, তাদের বয়স ৬০ বছর পার হলেই তারা বার্ধক্য ভাতা বাবদ প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পেতে থাকবেন। তার জন্য আলাদা করে কোনো আবেদন করতে হবে না। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রাপকদের তালিকায় নাম থাকা মহিলারা সরাসরি ৬০ বছর পার হলেই বার্ধক্য ভাতার প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে ভাতা পেতে থাকবেন। এই প্রক্রিয়াটি লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতায় আপনা আপনি চালু হয়ে যাবে। এর জন্য সেই মহিলাকে আলাদা করে কোনো আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন, রেশন কার্ড ছাড়াই সকলে তুলতে পারবেন চাল, গম, সমস্ত মুদি সামগ্রী।
এতদিন পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ৬০ বছর বয়স হলেই বন্ধ হয়ে যেত। তারপরে বার্ধক্য ভাতার জন্য সেই মহিলাকে আবেদন করতে হতো। সেই পুরনো নিয়মের পুরোপুরি বদল আনা হয়েছে এবারের বাজেটে। রাজ্য সরকার এবার সরাসরি লক্ষীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতায় মহিলাদের নাম তুলে দিচ্ছেন এবং প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা ওই মহিলা পেতে থাকবেন।
Written by Rajib Ghosh.
ট্রাক্টর মার্কা ৫ টাকার পুরনো নোট থাকলেই মালামাল, বিক্রয় করলেই লাখ টাকা।