রাজ্যের কৃষকদের জন্য দারুন খবর। এবার পাবেন ডবল সুবিধা। আপনার কি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu) তালিকায় নাম রয়েছে? তবে এই খবরটি আপনার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee) আগেই কৃষকদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে কৃষক বন্ধু নামে একটি স্কিম চালু করেছিলেন। যার মাধ্যমে প্রতিমাসে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হয় কৃষকদের।
Krishak Bandhu Scheme Online Status Check.
এবার কৃষক বন্ধুদের (Krishak Bandhu Scheme) অতিরিক্ত পেনশন দেবে বলে ঠিক করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government). যেখানে আরো ১০০০ টাকা করে ভাতা প্রতিমাসে তারা লাভ করবেন। তার জন্য করতে হবে কেবল একটি ফর্ম ফিলাপ। কোথায় ফর্ম পাবেন? কিভাবে ফিলাপ করবেন? জেনে নিন। আর এই ফর্ম না দিলে টাকা পাওয়া বন্ধও হয়ে যেতে পারে।
West Bengal Krishak Bandhu Scheme 2024
পশ্চিমবঙ্গের কৃষক বন্ধুদের জন্য নতুন পেনশন স্কিম (Krishak Bandhu Pension Scheme) আনলো রাজ্য সরকার। যেমন রাজ্যের নাগরিকরা বার্ধক্য ভাতা (Old Age Pension) পান তেমনই একটি স্কিম এটি যা কেবল কৃষকদের জন্য। এর মাধ্যমে ৬০ বছর বয়স পেরোলে তাদেরকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে। সাধারণ, আর্থিকভাবে অনগ্রসর, বা তফসীল জাতি ও উপজাতি সকল সম্প্রদায়ের লোকেরা এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
Krishak Bandhu Scheme Apply Criteria
১. কৃষকদের (Farmers) অবশ্যই ২০২৪ এর পয়লা জানুয়ারি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়সের মধ্যে থাকতে হবে। শারীরিকভাবে অক্ষম থাকলে ৫৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
২. অন্তত ১০ বছর যাবত রাজ্যের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে থাকতে হবে।
৩. প্রার্থীর নিজের নামে ১ একরের বেশি জমি থাকা চলবে না।
৪. প্রার্থী যদি বর্গাদার হন তবে জমির সর্বোচ্চ পরিমাণ হতে হবে ২ একরের মধ্যে।
৫. কোনো নিকট আত্মীয় নেই বা তেমন কেউ দেখভাল করার নেই, এমন কৃষকরা এর সুবিধা পাবেন।
৬. যারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন তাদেরকে অন্য কোন সরকারি স্কিমের (Government Scheme For Farmers) সুবিধা পাওয়া চলবেনা।
Krishak Bandhu Online Apply Process
১. প্রথমে স্থানীয় ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা অথবা মহকুমা সহ কিছু অধিকত্তা অথবা জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা এই অফিস থেকে কৃষক বন্ধু পেনশন স্কিমের একটি ফর্ম নিন।
২. ফর্মটিকে নিজের হাতে অথবা স্ক্রাইব মারফত সঠিকভাবে ফিলাপ করে নিন। নিজের নাম, ঠিকানা, বয়স, জমির তথ্য, আধার ও ভোটার কার্ডের নাম্বার ইত্যাদি ফর্মে উল্লেখ করতে হবে।
৩. এরপর সেই ফর্মটি তে কয়েকটি সই করাতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সই, ভূমি দপ্তরের রেভিনিউ অফিসারের সই, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক মহাশয়ের সই এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সই লাগবে।
৪. এরপর যথাযথ স্থানে ছবি সংযুক্ত করে তার নিচে আবেদনকারী কৃষককে সই করতে হবে।
৫. সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের এক কপি করে জেরক্স ফর্ম এর সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
৬. এরপর ফর্ম জমা করে দিতে হবে সেই অফিসে।
Krishak Bandhu Apply Documents
১. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
২. আধার কার্ড (Aadhaar Card).
৩. ভোটার কার্ড (Voter ID Card).
৪. শারীরিকভাবে অক্ষম হলে তার প্রমাণ (Disability Certificate).
বেকার ছেলে মেয়েদের 5 লাখ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এইভাবে আবেদন করলে ভোটের আগে টাকা পাবে।
৫. কাস্ট সার্টিফিকেট (Caste Certificate).
৬. জমির তথ্যের প্রমাণ।
৭. ব্যাংক পাস বইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স।
৮. দরকার হলে আরও কোন নথি চাওয়া হতে পারে।
Written by Nabadip Saha.
এই কাজ না করলে পিএম কিষানের টাকা পাবেন না। কৃষকবন্ধুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবর।