রাজ্যের পেনশন নিয়ে নয়া আশংকা। একাধিক সরকারী সংস্থার কর্মীদের পেনশন (Pension Status) নিয়ে অর্থ দপ্তরের (West Bengal Finance Department) গুরুত্ব সিদ্ধান্ত।
কিছুদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশন ভোগীদের জন্য ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা করেছেন। ভালো, খুশির খবর। যদিও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এতেও খুশি নয়। কারণ দীর্ঘ লড়াইয়ের পরও তাদের দাবিমতো নিজেদের প্রাপ্যের পুরোটা কোনোভাবেই পাচ্ছেন না তারা। তাই রাজ্য সরকারের প্রতি অসন্তোষ এখনো কাটেনি তাদের। তবে তাদের এই অসন্তোষের আগুনে এবার ঘি ছড়ালো রাজ্য সরকারের আরেক কান্ড।
WB Finance Department sent Pension Status Letters
৪% ডিএ ঘোষণার পর ও তারা করেছে নবান্ন অভিযান। বেতন ভাতা নিয়ে আন্দোলন কাটতে না কাটতেই এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের পেনশন (Pension Status) নিয়ে তৈরি হলো আশঙ্কা। অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু রাজ্য সরকারি কর্মীদের কাছে। কি রয়েছে চিঠিতে? তবে কি ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মত এরাজ্যেও বন্ধ হতে চলেছে পেনশন? প্রশ্ন উঠছে খোদ কর্মীদের একাংশের মধ্যে! আতঙ্কিত না হয়ে আগে বিষয়টা জেনে নিন।
কোন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে?
রাজ্যের অর্থ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, একটি রিট পিটিশন এর ভিত্তিতে রাজ্যের তিনটি বিভাগের সরকারি কর্মীদের পেনশন সংক্রান্ত (Check Pension Status) কিছু তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই তিনটি বিভাগই রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের অন্তর্ভুক্ত। তিনটি বিভাগ হলো যথাক্রমে,
- কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (KMDA),
- কলকাতা মেট্রোপলিটান ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন অথরিটি (KMWSA)
- হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (HIT).
Check Pension Status
গত ২৯ নভেম্বর পুর ও নগরোন্নয়ন সচিবকে অর্থ দপ্তরের পেনশন বিভাগের সচিব মারফত Pension Status সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই এবার জরুরি তলব করা হয়েছে এই দপ্তরের কর্মীদের। হঠাৎ পেনশন নিয়ে অর্থ দপ্তরের এরকম Pension Status চিঠি দেখে নড়ে চড়ে বসাকে অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন কর্মীরা।
এবার আসা যাক মূল কথায়, চিঠিতে কি লেখা রয়েছে?
অর্থ দপ্তরের তথ্য অনুসারে জানা গেছে, পেনশন সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর চেয়ে পাঠিয়েছেন তারা ওই তিন বিভাগের কর্মীদের কাছে। যার মধ্যে রয়েছে,
Check Pension Status online
১) পেনশনের ব্যয়ভার কারা বহন করে?
২) গত দু’বছর কোন খাত থেকে পেনশন দেওয়া হয়েছে?
৩) গত দুই অর্থবর্ষে পেনশন খাতে কত ব্যয় হয়েছে?
৪) পেনশনের মোট ‘কমিউটেড ভ্যালু’ (যদি প্রযোজ্য হয়) কত?
৫) চলতি অর্থবর্ষে অবসরপ্রাপ্ত এবং অবসর নিতে চলেছেন, এমন কর্মীর সংখ্যা কত?
৬) অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দফতর নিজস্ব ‘সোর্স’ থেকে পেনশনের অর্থ দিতে পারে কিনা? ইত্যাদি।
Pension Status Check
যদিও প্রশ্নগুলি অত্যন্ত সাধারণ, কিন্তু অর্থ দপ্তরের Pension Status সংক্রান্ত এই জরুরি তলব সম্পর্কে সকলে অবগত হওয়ার পরই দুশ্চিন্তায় পড়েছে মানুষ। মনে একটাই ভয়, পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে না তো এবার! এ নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর কাছে অনেকবার যোগাযোগও করা হয়েছে, কিন্তু কোন সদুত্তর আসেনি। তাকে ফোন করা হয়েছে একাধিকবার, কিন্তু ফোন বেজে বেজে কেটে গেছে।
আরও পড়ুন, গাড়ির মালিকদের সুখবর। আর ট্যাক্স লাগবে না। নতুন বছরে ঘোষণা মমতার।
এছাড়া প্রশ্নগুলি লিখে কর্মীরা তাকে মেসেজও করেছিলেন। কিন্তু তার উত্তরে স্পষ্টভাবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে এসব কিছুর উত্তর দেওয়া এখন সম্ভব নয়। রাজ্যের তরফে যতক্ষণ না কোন সাড়াশব্দ মিলবে ততক্ষণ এই চিন্তা কাটবে না কর্মীদের মন থেকে।
যদিও এই নিয়ে এই সংস্থাগুলো ব্যাতীত সাধারণ সরকারী কর্মীদের চিন্তার কোনও কারন নেই। কেন্দ্রের একাধিক সংস্থা পেনশন বন্ধ করলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও পেনশন বন্ধ করেনি। তাই এই নিয়ে অযথা টেনশন না করাই ভালো।
Written by Nabadip Saha.
আরও পড়ুন, নতুন বছরে পোস্ট অফিস সেভিংস একাউন্ট খুললেই দিচ্ছে বিশেষ সুবিধা।