2016 থেকে 2021, সময়টা নেহাত কম নয়। 5 বছর ধরে চলা ডিএ মামলা (WB Employees DA News) স্যাট হাইকোর্টের গন্ডি আর পেরোতে পারেনি। স্যাট ও হাইকোর্ট আলাদা করে নির্দেশ দিলেও রাজ্য তা মানেনি। রিভিউ, রিভিউ পিটিশন ইত্যাদি ইত্যাদি পর্ব চলছে। যার ফলে পে কমিশন ছাড়া ডিএ চালু হচ্ছে। দয়ার দান থেকে অধিকার রূপে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ও মেলেনি। মোটকথা সময় চলে যাচ্ছে, তারিখ পে তারিখ সব হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। তাই এবার আর স্যাট হাইকোর্টের পর্ব নয়, সরাসরি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ দাবী করলো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মীদের সংগঠন সরকারী কর্মচারী পরিষদ।
এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে নালিশ জানাবেন সুপ্রীম কোর্টে। পর পর দুবার মামলায় হেরেও বকেয়া ডিএ (WB Employees DA ) নিয়ে গড়িমসি করছে রাজ্য সরকার। যার ফলে রাজ্য সরকারী কর্মীরা প্রতি মাসে প্রায় কম বেশি 10 হাজার টাকা করে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা কার্যত জনস্বার্থ মামলার সামিল। যেখানে দেশের অন্য রাজ্য গুলো কেন্দ্রীয় মূল্য বৃদ্ধি সূচক হারে ডিএ দেয়, সেখানে রাজ্য সরকার প্রায় 24% ডিএ বাকি রেখেছে।
এ প্রসঙ্গে সরকারী কর্মচারী পরিষদের শ্রী দেবাশীষ শীল জানিয়েছেন, ডিএ কর্মচারীদের অধিকার। এটা আদালতই একাধিকবার ঘোষণা করেছেন। করোনা পরিস্থিতে কেন্দ্র একবার ডিএ ফ্রিজ করেছিল, তিনি এটা নিয়ে জনসমক্ষে ইস্যু করেছিলেন। কিন্তু আজ যে কেন্দ্র আগের বকেয়া মিটিয়ে বরং আরেক দফা ডিএ ঘোষণা করল, এবার তো তিনি চুপ করে আছেন। নিজের রাজ্যে যে 24% মহার্ঘ ভাতা বাকি আছে, সেটা তিনি বেমালুম ভুলে গেলেন! তাছাড়া এই পাঁচ বছর ধরে সব গটাপ গেম চলছে। একটি সাম্প্রতিক ঘটনায় তার প্রমান স্পষ্ট। আমরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নালিশ জানাবো, সুপ্রীম কোর্ট যেন আমাদের প্রাপ্য রাজ্যকে মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়।
অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা মামলা এবার সুপ্রীম কোর্টে গড়াবে। এবং শুরু হবে নতুন অধ্যায়। হয়তো সুপ্রীম কোর্ট ও একই রায় দেবে। সে কথা তো সময় বলবে। কিন্তু যত যাই হোক, মাসের শেষে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ সহ মাস মাইনের টাকাটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কর্মীদের স্যালারি একাউন্টে আদৌ কখনো ঢুকবে তো? আপনাদের কি মনে হয় কমেন্ট করে আপনাদের কমেন্ট অত্যন্ত মূল্যবান।