Mutual fund: মিউচুয়াল ফান্ডের এই ৫টি টেকনিক জানলেই উপচে পড়বে টাকা।

মিউচুয়াল ফান্ড শব্দটি শুনলেই অনেকের মনেই এক ধরণের দ্বিধাগ্রস্ততা দেখা দেয়। Mutual fund বাজারের সাথে যুক্ত থাকায় ঝুঁকির আশঙ্কাও থাকে। কিন্তু সত্যি কি তাই? আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থায়, মিউচুয়াল ফান্ড একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগ বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

Top 5 Mutual Funds secrets

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ারবাজার ও অন্যান্য আর্থিক বাজারে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি সত্যি তা বিপজ্জনক হত তবে কি মানুষ নিজের কষ্টের টাকা এখানে লাগাতেন। না তো। তাহলে কি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কোনো ঝুঁকি নেই? না, একেবারেই সেটা নয়। বাজারের ওঠা-পড়া মিউচুয়াল ফান্ডের উপরও প্রভাব ফেলে। তবে, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিশেষ ৫ টি টেকনিক রয়েছে যা অনেক বিনিয়োগকারী জানেন না। এগুলো আপনাকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ঝুঁকি কমিয়ে লাভ বাড়াতে সাহায্য করবে।

মিউচুয়াল ফান্ড কি?

মিউচুয়াল ফান্ড হল একটি বৃহৎ সংখ্যক বিনিয়োগকারীর অর্থের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিনিয়োগ ব্যবস্থা। এই অর্থ একজন পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়, যিনি বাজারের বিশ্লেষণ এবং বিনিয়োগের কৌশল ব্যবহার করে সিকিউরিটিজের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করেন। তারপর বিনিয়োগকারীদের অর্থ স্টক, বন্ড, মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্ট এবং অন্যান্য সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করেন। বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় এবং মূলধনের লাভ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, যা তাদের ইউনিটের মূল্য বৃদ্ধি করে।

মিউচুয়াল ফান্ডের ৫ কৌশল

১. শুধু ধনীদের জন্য নয়ঃ
অনেকে ভাবেন Mutual fund শুধু ধনীদের জন্য। কিন্তু আসলে যেকোনো আয়ের মানুষই এসআইপি (Systematic Investment Plan) এর মাধ্যমে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। মাত্র ৫০০ টাকা থেকেই শুরু করা যায় বিনিয়োগ।
২. বাজারের অস্থিরতাঃ
বাজারের অস্থিরতায় এসআইপিতে নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। তবে দীর্ঘমেয়াদে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের মাধ্যমে রিটার্ন বৃদ্ধি পায়।

৩. স্বল্পমেয়াদে বিনিয়োগঃ
অল্প টাকা দিয়ে স্বল্পমেয়াদেও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যায়।
৪. পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যঃ
এই ফান্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে ইক্যুইটি, ডেট এবং হাইব্রিড ফান্ডে বিনিয়োগের সুযোগ থাকে। এতে পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আসে এবং ঝুঁকি কমে।

আরও পড়ুন, স্টেট ব্যাংকের এই স্কীমে প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা পাবেন।

৫. ইক্যুইটি এবং ডেটঃ
SIP সাধারণত ইক্যুইটির সাথে যুক্ত থাকে। তবে বিনিয়োগকারী চাইলে ডেট ফান্ডেও বিনিয়োগ করতে পারেন। ডেট এসআইপি বন্ড এবং সরকারি সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করে পোর্টফোলিওর স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।

দাবি ত্যাগঃ
মিউচ্যুয়াল ফান্ড ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, সঠিক পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে ঝুঁকি কমিয়ে ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করা উচিত।
Written by Nabadip Saha.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment