NIL ITR Filing – ইনকাম কম হলেও ট্যাক্স ফাইল করলে পাবেন ৫ টি বিশেষ সুবিধা। শূন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সুবিধা

বর্তমানে ডিটাইজেশনের যুগে বাড়িতে বসেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যায়। আর যাদের ইনকাম কম তারাও আজকাল NIL ITR Filing বা শূন্য আয়কর রিটার্ন ফাইলিং করে থাকেন। অর্থাৎ আপনার আয় যদি করযোগ্য না ও হয়, তারপরো যদি আয়কর রিটার্ন ফাইল করেন সেক্ষেত্রে ও বিভিন্ন সুবিধা পেতে পারেন।

5 Benefits of NIL ITR Filing 2024 online

ভারতের আয়কর আইন অনুযায়ী, বর্তমানে যাদের আয় ৭ লক্ষ টাকার সীমা অতিক্রম করে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন (ITR) জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু যাদের আয় এই সীমার কম তারা কি আয়কর ফাইল করতে পারেন না? অনেকেই মনে করেন সেই কথা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একজন ব্যক্তির আয় কর যোগ্য না হলেও তিনি চাইলে আয়কর ফাইল করতে পারেন এবং নিতে পারেন বিশেষ পাঁচটি সুবিধা আয়করের। এজন্য NIL ITR পদ্ধতিতে কর জমা করতে হবে সেই ব্যক্তিকে। কিভাবে তা করবেন? কোন কোন লাভই বা পাবেন এর মাধ্যমে? বিস্তারিত দেওয়া হল আজকের প্রতিবেদনে।

শূন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করার পাঁচটি লাভ

১. সহজে লোন পাওয়ার সুযোগঃ
আজকাল অর্থের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে অনেকেই ব্যাংক বা অন্যান্য ঋণদানকারী সংস্থার কাছে লোনের আবেদন করেন। লোনের আবেদন করার সময়, ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলি প্রায়ই গ্রাহকের আয়ের প্রমাণ চায়। চাকরি না করলেও, NIL ITR Filing দাখিল করার প্রমাণপত্র দেখিয়ে সহজেই লোনের আবেদন গ্রহণযোগ্য হতে পারে। তাছাড়া, অতীত তিন বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দিলে লোন পাওয়া আরও সহজ হয়।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা বাড়ছে। বিরাট ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

২. বড় অংকের বীমা পলিসিঃ
যদি কোনো ব্যক্তি ৫০ লাখ বা তার বেশি টাকার বীমা পলিসি কিনতে চান, তবে সংশ্লিষ্ট বীমা সংস্থা সাধারণত ITR রসিদ চাইবে। ITR ফাইলের কপি দেখে সংস্থা সিদ্ধান্ত নেবে যে ওই ব্যক্তি বড় অংকের বীমা পলিসি নিতে সক্ষম কি না। সুতরাং, একটি Nil ITR ফাইল করা থাকলে এই প্রক্রিয়া সহজ হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন, এবার অনলাইন পেমেন্ট করলেই 3% Cashback পাবেন। Paykassma তে দেশে বিদেশে সবজায়গায় লেনদেন করার সুযোগ

৩. সহজে ভিসা পাওয়াঃ
বিদেশে যাত্রার জন্য ভিসা আবেদন করার সময়, ভিসা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা যাচাই করে থাকে। Nil ITR ফাইল করা থাকলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে কাজ করে। যদি আবেদনকারী উপার্জনশীল না হন, তাহলে তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের ITR কপি দেখানো যেতে পারে, যা ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে সহায়ক হতে পারে।

৪. ঠিকানার প্রমাণঃ
বর্তমানে অনেকেই অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা করেন। যদি হাতে হাতে জমা দেওয়া হয়, তবে আয়কর রিটার্নের কপি গ্রাহকের নিবন্ধিত ঠিকানায় পাঠানো হয়। এই কপি একটি ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তাই, Nil ITR ফাইল করলে আপনার ঠিকানার প্রমাণ নিশ্চিত করা যায়।

আরও পড়ুন, হটাত টাকার দরকার হলে, স্টেট ব্যাংক গ্রাহকদের চিন্তা নেই, চালু হলো নতুন প্রকল্প।

৫. নতুন ব্যবসা শুরুর সুবিধাঃ
নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য সরকারি প্রকল্প বা ডিল পেতে ITR ফাইলের কপি প্রয়োজন হয়। সাধারণত, সরকারি প্রকল্পের জন্য ৫ বছরের ITR ফাইল জমা দিতে হয়। এটি ব্যবসায়িক চুক্তি লাভের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে গণ্য হয়।

কাদের Zero ITR ফাইল করা উচিতঃ
১. যাদের আয় করযোগ্য নয়।
২. যারা লোন, বীমা, ভিসা, ঠিকানা প্রমাণের জন্য ITR ব্যবহার করতে চান।
৩. যারা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান।

কীভাবে শূন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করবেন?

১. অনলাইনঃ
আয়কর দপ্তরের ওয়েবসাইট এ গিয়ে অনলাইনে ITR ফাইল করা যায়।

২. অফলাইনঃ
ITR ফর্ম ডাউনলোড করে এবং তা পূরণ করে নিয়ে সরাসরি আয়কর দপ্তরের অফিসে গিয়েও জমা দেওয়া যায়।

আপনি যদি অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চান, সঠিক পদ্ধতি জানতে এখানে ক্লিক করুন।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment