School Timings : স্কুল শুরুর কয়েক মাসের মধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে জারি করা হয়েছে নতুন গাইডলাইন।
অতিমারি আবহে দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (School Timings)। এরই মধ্যে নেওয়া হয় অনলাইন ক্লাস। ফলে দীর্ঘদিন ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে বসে ক্লাস করায় একদিকে যেমন তাদের পড়াশোনার পরিবেশের বদল ঘটেছে, তেমনি বদল ঘটেছে অভ্যাসের।
অতিমারীর প্রকোপ বেশ খানিকটা কমতেই এবছর অফলাইন মোডে নেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে জারি করা হয়েছে কড়া নির্দেশিকা।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক জারি হওয়া সেই ২২ দফা নির্দেশিকার (School Timings) কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ-
১) পর্ষদের (School Timings) তরফে কড়া ভাবে জানানো হয়েছে, শিক্ষকদের এখন থেকে সকাল ১০:৫০ মিনিটের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে স্কুলে। যদি তা না হয়, তবে সেদিনের জন্য সেটি ‘হাফ ডে’ বলে গণ্য করা হবে।
তবে ১১:০৫ মিনিটের পর শিক্ষক স্কুলে প্রবেশ করলে তা ‘অনুপস্থিত’ বলে গণ্য করা হবে। নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, বিকেল ৪:৩০-এর আগে কোনও শিক্ষক যেতে পারবেন না স্কুল ছেড়ে।
২) দেখা যায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী নিজের বা অন্যকোনো স্কুলের শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়তে যান। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কড়া ভাবে (School Timings) বলা হয়েছে, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা টিউশন বা অন্যকোনো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
৩) অভিভাবকদের সর্বকালের একটি ভরসার জায়গা হল স্কুল। তাই নির্দেশিকায় (School Timings) আরও জানানো হয়েছে, করা যাবে না ছাত্র-ছাত্রীদের উপর শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন।
৪) এতদিন বলা হত, স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা আনতে পারবেন না কোনো মোবাইল ফোন। মোবাইল সহ ধরা পড়লে নেওয়া হয় কড়া ব্যবস্থা। এবার থেকে এই বিধিনিষেধ (School Timings) চালু করা হল রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে। বলা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের মতো ক্লাসরুমে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। মোবাইল নিয়ে ক্লাসে যেতে হলে প্রয়োজনে নিতে হবে অনুমতি।
৫) নির্দেশিকায় (School Timings) বাধ্যতামূলক ভাবে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনের অনুষ্ঠানে সমস্ত শিক্ষকদের অংশ নিতেই হবে এবার থেকে।
৬) পরিবারের গুরুজনদের পর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা হলেন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান গুরু। এনাদের কাছেই পান জীবন গড়ার শিক্ষা। তাই নির্দেশিকায় (School Timings) বলা হয়েছে স্কুল ক্যাম্পাসকে রাখতে হবে মাদকমুক্ত। এমনকি স্কুল ক্যাম্পাসে শিক্ষকরা ধূমপান করতে পারবেন না। সাথে সাথে খাওয়া যাবে না গুটখা বা পান।
আরও পড়ুনঃ মাত্র ২০ টাকার কমে ৩০ দিনের ভ্যালিডিটি, এই রিচার্জ প্ল্যান চিন্তায় ফেলে দিলো সবাইকে
৭) এমনকি ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর তৃতীয় সামেটিভ পরীক্ষা শেষের পরেও ক্লাস নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে।