আর দুদিন বাদেই রাজ্যে খুলছে স্কুল (School Reopen)। তবে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে পড়ুয়াদের লিখিত মুচলেকা দিতে হবে প্রত্যেক অভিভাবক কে, এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জাড়ি করেছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল। গত সপ্তাহে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন স্কুল খোলা থাকলেও, স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক নয়, অভিভাবক চাইলেই স্কুলে আসবে বাচ্চারা। আর এদিন লিখিত মুচলেকা চেয়ে কার্যত, সেই পথেই হেঁটেছে বিভিন্ন স্কুল ম্যানেজিং কমটি।
উল্লেখ্য, স্কুল খোলা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয় হাইকোর্টে, আর সেই মামলা কার্যত খারিজ করে দিয়ে আদালত জানায় স্কুল খোলার (School Reopen) সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। আর তারপর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক নয়, অভিভাবক চাইলে তবেই স্কুলে পাঠাবেন পড়ুয়াদের। আর এরপর, এ বিষয়ে এদিন আদালতও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, স্কুল খোলা নিয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে, কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনা করবে। শিক্ষামন্ত্রীর বিবৃতি এবং হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের পরই কলকাতার একাধিক বেসরকারি স্কুল অভিভাবকের সম্মতি ছাড়া পড়ুয়াদের স্কুলে আনতে রাজি নয়।
অভিভাবকদের সম্মতি থাকলেই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো হবে। এই মর্মে একাধিক বেসরকারি স্কুল অভিভাবকদের থেকে মুচলেখা বা আন্ডারটেকিং নিতে চলেছে। আবার কোন স্কুল প্রত্যেক দিনের হেলথ রিপোর্ট নিয়ে অভিভাবকের সম্মতি নেবে। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ডিরেক্টর কৃষ্ণ দামানি জানিয়েছেন, আমরা প্রত্যেক দিনের হেলথ রিপোর্ট অভিভাবকদের থেকে নেব এবং তারপরেই অভিভাবকরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবে (School Reopen)।
লা মার্টিনিয়ার স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, অভিবাবকদের সম্মতি নিয়েই আসতে হবে পড়ুয়াদের। বহু স্কুলই একই পথে হাঁটতে চলেছে। তাদের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অভিভাবকদের সম্মতি নিয়েই আসতে হবে স্কুলে। ইমেল মারফৎ এই সম্মতিপত্র অভিভাবকদের পাঠাচ্ছে বেসরকারি স্কুলগুলি।(School Reopen)
এদিকে, স্কুল খোলা নিয়ে মামলাকারীর বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করেনি হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, অভিভাবকদের সমস্যা হলে তাঁরা আদালতে এসে সমস্যার কথা বলবেন। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে মামলাকারীকে বিচারপতি বলেন, স্কুল কতক্ষণ খোলা থাকবে, সেটা কি আপনাদের দেখার বিষয়? আপনার বাচ্চা কি স্কুলে যায়? এটা ব্যক্তিগত কারণ হতে পারে না। অভিভকদের বলার থাকলে কোর্টে এসে বলুক। আমরা দেখব। আদালত এমনও জানিয়ে দিয়েছে, নির্দিষ্ট ভাবে ওই শ্রেণীর পড়ুয়া বা অভিভাবক বা শিক্ষকরা চাইলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অভিযোগ জানাতেই পারেন এ বিষয়ে।