শিক্ষিকাদের পোশাক নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে এর আগে (School Reopen)। এমনকি আদালত পর্যন্ত বিষয়টি গড়িয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশকে কার্যত অমান্য করে, স্কুলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে শিক্ষিকাদের উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়। যেখানে অভিভাবকদের দাবির কথা উল্লেখ করে, স্কুলে শাড়ি পরে আসতে অনুরোধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর এহেন নির্দেশে চাঞ্চল্য ছরিয়েছে দক্ষিন ২৪ পরগনার একটি স্কুলে।
সংবাদ সুত্রে খবর, অভিভাবকদের দাবি, শাড়ি পরে আসতে হবে স্কুলে (School Reopen)। স্কুল কর্তৃপক্ষও তাতে সম্মত হলে তৈরি হয় বিতর্ক। সংবাদ মাধ্যমে তা প্রকাশ হতেই, এদিন তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকে মেটানো হল বিতর্ক। শালীনতা বজায় রেখে পোশাক পরার অনুমতি পেলেন শিক্ষিকারা।
সূত্রের খবর, স্কুলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে শিক্ষিকাদের উদ্দেশে দৃষ্টি আকর্ষণ বলে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়। যেখানে অভিভাবকদের দাবির কথা উল্লেখ করে, স্কুলে শাড়ি পরে আসতে অনুরোধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।(School Reopen)
প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, শিক্ষিকারা চুড়িদার, লেগিংস পরছেন বলে তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। শাড়ি পরেই শিক্ষিকাদের স্কুলে আসতে হবে, এমনই দাবি করা হয়েছে। তাই অশান্তি যাতে না হয় তাই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বলরাম মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, শাড়ি পরার রীতিনীতি চলছে। লকডাউনে অনেকে বলেছিলেন এখন ক্লাস হয় না। সালোয়ার কামিজে সুবিধে হয়। কিছুদিন আগে স্কুল খুলেছিল। লেগিংস পরে আসেন শিক্ষিকারা। অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ জানান। আমি বিষয়টি কমিটিকে জানাই। সিদ্ধান্ত হয়।
রূপা বৈদ্য নামে এক অভিভাবক বলেন, দিদিমণিরা সালোয়ার কামিজ পরে আসতে পারবেন না। ওদের দেখেই ছেলেপুলেরা শিখবে। আন্টি মানেই শাড়ি পরবে।
আরও পড়ুন, ফের চালু হচ্ছে, দুয়ারে সরকার, আপনার পাড়ায় কবে দেখুন
এই পরস্থিতিতে সোমবার স্কুলে বৈঠক হয়। প্রশাসনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সেখানেই মেলে সমাধান সূত্র। বলরাম মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির শিক্ষিকা রুহিক আয়না বলেন, পোশাক পরা নিয়ে সমস্যা ছিল। ইতিবাচক সমাধান। শালীনতা বজায় রেখে পোশাক পরতে পারব বলা হয়েছে।
সংবাদসূত্র – এবিপি আনন্দ